ইটানগর (অসম), ১১ জুলাই (হি.স.) : অরুণাচল প্রদেশে অবিরাম বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। ফলে অরুণাচলের হলোঙ্গি হাইওয়ের কয়েকটি স্থানে ধস পড়ে যাতায়াত ব্যবস্থা ব্যাহত হয়ে পড়েছে।
রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসনিক সূত্রের খবর, গত ৪৮ ঘণ্টার অবিরাম বর্ষণে অরুণাচল প্রদেশ এবং অসমের সংযোগ রক্ষাকারী ১৪ কিলোমিটার হলোঙ্গি রুটে ভয়াবহ ভূমিধস হয়েছে। এতে জাতীয় সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের উভয় পাশে বিপর্যয়ের ফলে শত শত গাড়ি এবং দ্বি-চাকার গাড়ি আটকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ধ্বংসাবশেষ অপসারণের জন্য নির্মাণ সংস্থা এবং অরুণাচল প্রদেশের সড়ক বিভাগ অক্লান্ত কাজ করছে, জানিয়েছে সূত্রটি।
স্থানীয় ঠিকাদার তাপ মারাং উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, জেসিবি এবং ডাম্পারের সাহায্যে গতকাল রাত থেকে ধ্বংসাবশেষ সরানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু ভারী ও অবিরাম বৃষ্টির দরুন সড়ক থেকে ধসের মাটি সরানোর কাজে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। মারাং বলেন, জাতীয় সড়ক বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররাও সড়ক সাফাইয়ের কাজ পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি বলেন, দুটি স্থান অত্যন্ত বিপজ্জনকভাবে অবস্থান করছে। কেননা, রাস্তার অর্ধেকেরও বেশি সম্পূর্ণভাবে ধুয়ে গেছে। ওই দুই জায়গাকে পুনর্নির্মাণের জন্য কয়েকদিন সময় লাগবে।
ঠিকাদার তাপ মারাং জানান, দিন-কয়েক আগেও ব্যাপক ভূমিধসের কবলে পড়ে হলোঙ্গি-ইটানগর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। যার ফলে কয়েকশো যানবাহন ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে প্রচণ্ড দুর্ভোগের শিকার হয়েছিল।
এদিকে রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সমস্ত জেলাশাসককে যে কোনও পরিস্থিতির সাথে সাথে মোকাবিলা করার জন্য সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ জারি করেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের জনৈক আধিকারিক জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয় দিতে সব জেলায় ত্রাণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। রাজ্যের রাজধানীতে বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে অবস্থিতি ২৭৯টি বাড়িকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আধিকারিক জানান, গত এপ্রিল থেকে ভূমিধস ও বন্যায় ৮৭টি গ্রামের ৫২৪টি বাড়ির মোট ১১,০০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।