মণিপুর ট্র্যাজেডি : ভূমিধসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২৪, এখনও নিখোঁজ ৪৪ জন, জীবন্ত উদ্ধার ২৩ জন

ননি (মণিপুর), ২ জুলাই (হি.স.) : মণিপুরের ননি জেলার অন্তর্গত টুপুল রেললাইন নির্মাণ প্রজেক্টে বুধবার রাতে সংঘটিত ভূমিধসের কবলে পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৪। এখনও মাটির স্তূপে এখনও আবদ্ধ ৪৪ জন। তাঁদের মধ্যে অসমের তিন ইঞ্জিনিয়ার, নির্মাণ শ্রমিক-কর্মচারী, স্থানীয় নাগরিক। এঁদের মধ্যে রয়েছেন অসম ছাড়াও ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্য রাজ্যের বাসিন্দাও। তবে ২৩ জনকে আহত অবস্থায় জীবন্ত উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের ননি আর্মি মেডিক্যাল ইউনিট এবং ইমফলে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।

আজ শনিবার রাজ্যের প্ৰশাসনিক আধিকারিকরা জানান, মৃতদের মধ্যে ১৮ জন জওয়ান, ছয়জন শ্ৰমিক ও স্থানীয় নাগরিক রয়েছেন। তাঁরা জানান, ১০৭ টেরিটরিয়াল আৰ্মির ১৩ এবং পাঁচজন সাধারণ নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও ধসের স্তূপে আবদ্ধ রয়েছেন ৪৪ জন।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার মুখ্যমন্ত্ৰী এন বীরেন সিং টপুলে ধ্স-বিধ্বস্ত এলাকায় এসে শীর্ষ সেনা, সাধারণ এবং পুলিশের উদ্দপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে গোটা দিন উদ্ধারকার্যের তদারকি করেছেন। ধসের কবলে পড়ে নিহতদের পরিবারবর্গকে পাঁচ লক্ষ এবং আহতদের নগদ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন।

বুধবার রাত প্রায় দুটো নাগাদ রাজ্যের ননি জেলার অন্তর্গত টুপুলে রেললাইন নির্মাণ ক্যাম্পে ব্যাপক ভূমিধস হয়। ধস পড়ে ভারতীয় সেনার ১০৭ নম্বর টেরিটরিয়াল আৰ্মি ক্যাম্প, নবনির্মিত রেলস্টেশনের ওপর। ইমফল-জিরিবাম নির্মীয়মাণ ব্ৰডগজ রেললাইনের নিরাপত্তার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল ১০৭ নম্বর টেরিটরিয়াল আর্মি। গত তিন মাস আগে টুপুল রেল স্টেশনের কাছে মোতায়েন করা হয়েছিল টেরিটরিয়াল আর্মির ১০৭ নম্বর ব্যাটালিয়ন। ভূমিধসের পর থেকে সেনা, আসাম রাইফেলস, এনডিআরএফ-এর দল অত্যাধুনিক সরঞ্জাম নিয়ে উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে। ব্যবহার করা হচ্ছে বায়ুসেনার হেলিকপ্টারও।

ভূমিধস এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, পাহাড়ের নীচে ইজাই নদীর মাঝখানে বাঁধের সৃষ্টি করে গতিপথ অবরুদ্ধ করে রেখেছে। প্ৰতিকূল আবহাওার জন্য উদ্ধার অভিযান শেষ করতে আরও দু-তিনদিন সময় লাগবে বলে আজ জানিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।