BRAKING NEWS

আপডেট-২ : ত্রিপুরায় উপনির্বাচনে বিজেপি তিনটি এবং কংগ্রেস একটি আসনে জয়ী, চূড়ান্ত ভরাডুবি বামেদের

আগরতলা, ২৬ জুন (হি. স.) : ত্রিপুরায় উপনির্বাচনেও জয়ের ধারা বজায় রেখেছে বিজেপি। চারটি আসনের মধ্যে তিনটি আসনে জয়ী হয়েছে শাসক দল। কংগ্রেস একটি আসনে জয়ী হয়েছে। কিন্তু, বামফ্রন্ট একটি আসনেও জয়ী হতে পারেনি। বরং সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিএম তৃতীয় স্থানে পৌছে গেছে। জনজাতিভিত্তিক আঞ্চলিক দল তিপরা মথা সিপিএমকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। তাতে স্পষ্ট, এই উপনির্বাচনেও বামেদের মারাত্মক ভরাডুবি হয়েছে।

৬-আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মণ ৩১৬৩ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। কংগ্রেস প্রার্থী ১৭৪৩১টি এবং বিজেপি প্রার্থী ডা: অশোক সিনহা ১৪২৬৮টি ভোট পেয়েছেন। সুদীপবাবু ২০১৮ সালে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন। এরপর তিনি বিজেপি জোট সরকারে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। কিন্তু, বছর দেড়েকের মধ্যেই তিনি মন্ত্রিত্ব খুইয়ে ফেলেন। সম্প্রতি তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। তার আগে তিনি বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। আজ তিনি বিজেপি প্রার্থী ডা: অশোক সিনহাকে পরাজিত করেছেন।

৮-টাউন বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা ৬১০৪ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। তিনি কংগ্রেস প্রার্থী আশীষ কুমার সাহাকে পরাজিত করেছেন। বিজেপি প্রার্থী ডা: মানিক সাহা ১৭১৮১টি এবং কংগ্রেস প্রার্থী আশীষ কুমার সাহা ১১০৭৭টি ভোটে পেয়েছেন। আশীষ বাবুও ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু, সুদীপ বর্মনের সাথে তিনিও বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী পদে বিপ্লব কুমার দেব পদত্যাগ করেন। এরপর ডা: মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উপনির্বাচনে তিনি বিরাট ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন। ইতিপূর্বে তিনি রাজ্যসভার নির্বাচনেও জয়ী হয়েছিলেন। তবে, জনগণের রায়ে এই প্রথম তিনি নির্বাচিত হয়েছেন।

৫৭-যুবরাজনগর নগর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী মলিনা দেবনাথ জয়ী হয়েছেন। তিনি ৪৫৭২ ভোটের ব্যবধানে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বামফ্রন্ট প্রার্থী শৈলেন্দ্র চন্দ্র নাথকে পরাজিত করেছেন। বিজেপি প্রার্থী মলীনা দেবনাথ ১৮৭৬৯টি এবং সিপিএম প্রার্থী শৈলেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ ১৪১৯৭টি ভোট পেয়েছেন। ওই কেন্দ্র ২০১৮ সালে সিপিএম জয়ী হয়েছিল। প্রাক্তন অধ্যক্ষ রমেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ ওই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। কিন্তু, তাঁর অকাল প্রয়ানে ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছে। সিপিএমের গড় হিসেবে পরিচিত যুবরাজনগর কেন্দ্রে বিজেপির বিশাল ব্যবধানে জয় প্রমাণ করেছে ত্রিপুরায় বামেদের অস্তিত্ব সংকট আরও চরম আকার নিয়েছে।৪৬-সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রেও বিজেপি জয়ী হয়েছে। বিজেপি প্রার্থী স্বপ্না দাস পাল ৪৫৮৩ ভোটের ব্যবধানে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাবুরাম সাতনামীকে পরাজিত করেছেন। তিনি ১৬৬৭৭ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে তিপরা মথার প্রার্থী বাবুরাম সাতনামী ১২০৯৪ এবং বামফ্রন্ট সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী অঞ্জন দাস ৮৪১৫টি ভোট পেয়েছেন। ওই কেন্দ্রে ২০১৮ সালে বিজেপির টিকিটে আশীষ দাস জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু দলবিরোধী কার্যকলাপের দায়ে তাঁকে বিধায়ক পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু, উপনির্বাচনে আবারও বিজেপি ওই কেন্দ্রটি নিজেদের দখলে রাখতে সক্ষম হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *