লখনউ, ২৫ জুন ( হি. স.) : উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ শনিবার ডক্টর এপিজে আব্দুল কালাম টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত বিজ্ঞান ভারতীর পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর, বিজ্ঞান ভারতীর জাতীয় সংগঠন মন্ত্রী জয়ন্ত সহস্রবুদ্ধে সহ বহু বিশিষ্টজন।
অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ বলেন, ভারতীয় ঋষিরা কখনই জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে কোনও ধরনের প্রতিবন্ধকতাকে তোয়াক্কা করেননি। ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গি নিজেই বিজ্ঞান ভিত্তিক। শুধু মানুষ ও প্রাণীরই অনুভূতি নেই, গাছ-গাছালিরও অনুভূতি আছে। স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু বিশ্বকে এই দৃষ্টি দিয়েছিলেন। বিজ্ঞান ভারতীর এই অনুষ্ঠান লখনউতে একটি আনন্দদায়ক অনুভূতি দিচ্ছে। কেননা লখনউকে ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ভিত্তিভূমি বলা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আগত প্রতিনিধিদের তিনি স্বাগত জানান।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, উদীয়মান বিজ্ঞানীদের তাদের গবেষণাপত্র লিখে রাখা উচিত। বিজ্ঞান ভারতী এদিক থেকে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের জ্ঞানকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রহণ করেছি, কিন্তু ব্যবহারিক দৃষ্টিকোণ থেকে তা গ্রহণ করতে পারিনি। তাই আপনি যে ক্ষেত্রে আছেন তা লিখে রাখার আহ্বান জানান। যোগী আরও বলেন, বিজ্ঞান কী, আমরা যে কোনও নতুন জ্ঞানকে বিজ্ঞান হিসাবে বিবেচনা করি। বিজ্ঞান ভারতীর কাছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের মতো সংগঠনের আশীর্বাদ রয়েছে। সংঘ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেশ ও সমাজের স্বার্থে কাজ করে। সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার নিজেও একজন বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক ছিলেন। সংঘের দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক মাধব সদাশিব গোলওয়ালকর শ্রী গুরুজী ছিলেন একজন বিজ্ঞানী। সংঘের সকল সরসঙ্ঘচালক গণ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিপূর্ণ।
বিজ্ঞান ভারতীর জাতীয় সাধারণ সম্পাদক সুধীর ভাদৌরিয়া জানান, ২৯টি প্রদেশের প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে এসেছেন। কনভেনশনে বিজ্ঞান ভারতীর সমসাময়িক বিষয়, সাংগঠনিক ও ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
সুপার কম্পিউটারের জনক ডক্টর বিজয় বান্দকার বলেন, বিজ্ঞান এবং আধ্যাত্মিকতা একসঙ্গে যুক্ত। যে জাতিতে আধ্যাত্মিকতা ও বিজ্ঞানের পূজা হয়, সেই জাতির উন্নতি হয়। উত্তরপ্রদেশ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে উন্নতি করছে।