সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের বিদায়ী চেয়ারম্যান মহেন্দ্র মোহন গোস্বামী, ব্যাংকের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান সত্যেন্দ্র সিং, জেনারেল ম্যানেজার শিশির কুমার রোহত্যাগী, একাউন্টস দপ্তরের প্রধান কার্তিক দেববর্মা ও ডেভেলপমেন্ট দপ্তরের প্রধান পায়েল সাহা৷ আজ সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়৷
বিদায়ী চেয়ারম্যান আবেগঘন ভাষায় উনার পাঁচ বছরের কার্য্যকালে ব্যাংকের সাফল্য তুলে ধরেন৷ দৈনিক হাজিরা কর্মীদের মজুরী বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশ্ণের সঠিক জবাব বিদায়ী চেয়ারম্যান দিতে পারেননি৷ শুধু বলেছেন সবার থেকে নাকি বেশি দেওয়া হচ্ছে৷ যদিও সর্বত্র দাবি করা হয় ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক নাকি ভারতবর্ষে প্রথম স্থানাধিকারি৷ সকল স্তরের কর্মী অফিসারগণ মনে প্রাণে চান দৈনিক হাজিরা কর্মীদের মজুরী বৃদ্ধি হউক৷ কারন ওরাই ব্যাংকের আসল সম্পদ৷ দৈনিক হাজিরা কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি না হলে অচিরেই সব স্তরের কর্মীরা বৃহদতর আন্দোলনে যাবে বলেও সূত্রের খবর৷সাংবাদিকদের প্রশ্ণের উত্তরে নবাগত চেয়ারম্যান জানান প্রত্যেকটি শাখায় প্রয়োজনীয় সুবিধাদি অবিলম্বে সম্পন্ন করা হবে৷ ধীরগতির নেট ওয়ার্ক, ব্যাংকের এটিএম স্থাপন,পর্যাপ্ত কর্মী নিয়োগ নিয়ে কোনো সঠিক উত্তর আজ সাংবাদিকরা পাননি৷ সব উত্তর ছিল পাশকাটানো৷
এদিকে সূত্রের খবর নতুন চেয়ারম্যান দৈনিক হাজিরা কর্মীদের মজুরী বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয় নাকি আগামী বোর্ড মিটিংয়ে তুলবেন অথচ উনি এসেই কর্মীদের নানাবিধ সমস্যায় ফেলে দিচ্ছেন৷ এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই ব্যাংকে খুব বড় ধরনের আন্দোলন কর্মসূচী শুরু হতে যাচ্ছে৷
উল্লেখ্য, ব্যাংকের সব শাখা কর্মী স্বল্পতায় দীর্ঘদিন যাবৎ ভুগছে৷ অতন্ত্য ধীরগতির নেট ওয়ার্ক প্রতিদিন প্রত্যেক শাখায় কর্মীদের কাছে এক বিভীষিকা৷ সদিচ্ছা স্বত্বেও কর্মীরা গ্রাহকদের সঠিক সেবা দিতে পারছেন না৷ এটিএম কার্ডের অভাবে অনেক শাখা গ্রাহকদের কার্ড দিতে পারছে না৷ এই নিয়ে প্রতিনিয়ত গ্রাহকগণ ব্যাংকের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করছেন৷ এই সমস্ত বিষয়ে আজ একটিও সঠিক উত্তর সাংবাদিকরা পান নি৷
যাই হোক আজ ভারতবর্ষের এক নম্বর গ্রামীণ ব্যাংকের ফিনান্সিয়াল রিপোর্ট পেশ করা হয়৷ ব্যাংকের প্রভূত লাভ এই অর্থ বছরে হয়েছে৷ জনধন যোজনায় অনেক খাতা খোলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ফ্লেগশিপ প্রকল্পে খুব ভালো কাজ করেছে ব্যাংক৷ এই সকল কাজেই দৈনিক হাজিরা কর্মীদের অবদান অনস্বীকার্য৷ কিন্ত এই দুর্মূল্যের সময়ে তাদের হাজিরা নামমাত্র৷