সুষ্ঠু বিদ্যুৎ পরিষেবার জন্য গুয়াহাটি থেকে আসছেন ইঞ্জিনিয়ার
শুক্রবার থেকে দৈনিক এক লক্ষ লিটার পানীয় জল, জানান হিমন্তবিশ্ব
বন্যার্তদের সুষ্ঠু পরিষেবা দিতে কাছাড়ে অতিরিক্ত দশজন অফিসার নিয়োগ
শিলচর (অসম), ২৩ জুন (হি.স.) : শিলচর শহর সহ কাছাড় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি সচক্ষে দেখেছেন মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। আজ বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টারে চেপে আকাশপথে গোটা জেলার ভয়াবহ বন্যা ও ক্ষয়ক্ষতির খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। হেলিকপ্টারে মুখ্যমন্ত্ৰীর সঙ্গে ছিলেন শিলচরের সাংসদ ডা. রাজদীপ রায়, জেলাশাসক কীর্তি জল্লি, পুলিশ সুপার রমণদীপ কৌর, ডিআইজি (সাউদার্ন রেঞ্জ)।
এর পর শিলচরে জেলাশাসকের কাৰ্যালয়ের সভাকক্ষে জেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন বিভাগের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্ৰী ড. শৰ্মা। জেলা সদর শিলচর সহ গোটা জেলায় চলমান বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি এবং প্ৰশাসন কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা ইত্যাদি সম্পৰ্কে মুখ্যমন্ত্ৰী জেলাশাসক জল্লির কাছে জানতে চান। জবাবে গোটা পরিস্থিতি এবং ত্রাণ ও উদ্ধার সহ কী কী ব্যবস্থা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে তার বিস্তৃত বিবরণ মুখ্যমন্ত্ৰীর সামনে তুলে ধরেন জেলাশাসক কীর্তি জল্লি।
সব শুনে শিলচর শহরের বন্যা কবলিত প্রত্যেকটি ওয়াৰ্ডে উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ অভিযান আরও তীব্ৰতর করে তুলতে জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্ৰী। শিশু-মহিলা সহ প্ৰতিটি বন্যার্ত যাতে উপযুক্ত সহায়তা লাভ করতে পারেন সে অনুযায়ী রোডম্যাপের বলে স্কিম তৈরি করতেও বলেছেন ড. শর্মা৷ ওই স্কিম বাস্তবায়নে স্থানীয় জনতার সাহায্য নিতে পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৈঠকে জেলার সব আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কাছাড় জেলায় যাতে কোনও ধরনের খাদ্য সংকট সৃষ্টি না হয় তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করে মুখ্যমন্ত্ৰী আকাশপথে খাদ্য সরবরাহ করতে পদস্থ আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন। বৈঠকে তিনি জানান, প্রশাসনিক শক্তি বৃদ্ধি করে উদ্ধার ও সাহায্য অভিযান যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করা যায় তার জন্য দশজন অফিসারকে কাছাড় জেলায় আসার নিৰ্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তাছাড়া শহরের প্ৰতিটি প্রান্তে যাতে বিদ্যুৎ পরিষেবা উপলব্ধ হয়, তার জন্য আসাম পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিডিসিএল)-এর শীৰ্ষ আধিকারিকদের তাৎক্ষণিকভাবে যথোচিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে মুখ্যমন্ত্ৰী কড়া নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রশাসনিক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন, জেলার ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে জেলা প্ৰশাসন সহ রাজ্য সরকার প্ৰয়োজনীয় যাবতীয় ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেছে। জনসাধারণ যাতে সর্বক্ষণ বিদ্যুৎ লাভ করতে পারেন সেজন্য গুয়াহাটি থেকে ইঞ্জিনিয়ার আনারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া পানীয় জল সমস্যা লাঘব করতে সরকার আগামীকাল থেকে দৈনিক এক লক্ষ লিটার জল আনার ব্যবস্থা করবে, জানান মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।
মুখ্যমন্ত্রী ড. শর্মার সঙ্গে আজকের বৈঠকে অন্যদের সঙ্গে ছিলেন পরিবহণ মন্ত্ৰী পরিমল শুক্লবৈদ্য, সাংসদ রাজদীপ রায়, দুই বিধায়ক দ্বীপায়ন চক্ৰবৰ্তী ও কৌশিক রাই, রাজস্ব ও দুৰ্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্ৰধানসচিব অবিনাশ যোগী, জেলাশাসক, ডিআইজি (সাউদার্ন রেঞ্জ), পুলিশ সুপার, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, এপিডিসিএল সহ জেলার সাধারণ ও পুলিশ প্ৰশাসনের পদস্থ আধিকারিকবর্গ।