BRAKING NEWS

Hindu Front :আগুন ধরিয়ে এ কোন আন্দোলন, প্রশ্ন সংযুক্ত হিন্দু ফ্রন্টের

কলকাতা, ২০ জুন (হি. স.) : জাতীয় সম্পত্তি আগুন ধরিয়ে এ কোন আন্দোলন? প্রশ্ন তুললেন সংযুক্ত হিন্দু ফ্রন্টের সভাপতি শঙ্কর মণ্ডল। তাঁর বক্তব্য, “এটা প্রতিবাদের কোনও পথ হতে পারে না। আর এই আন্দোলনের নামে দেশবিরোধী শক্তির প্রবল সক্রিয় উপস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগের। এবং এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের শক্তিশালী আইন প্রণয়ন করে একে দমন করা উচিত। তা নাহলে দেশের সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।

এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, একটি বিষয় যথেষ্ট চিন্তার কারণ সেটা হল এই দেশ বিরোধী শক্তি যেভাবে আন্দোলনের নামে তাণ্ডব চালাচ্ছে, সেখানে তারা এই দেশের কংগ্রেস, কমিউনিস্ট কিংবা তৃণমূলের ঝাণ্ডা ব্যাবহার করছে। মনে রাখতে হবে এই দলগুলো আমাদের দেশের স্বীকৃত রাজনৈতিক দল, তাই স্বাভাবিক ভাবেই সংসদীয় নিয়মনীতি মেনে চলা এই দলগুলোর বাধ্যবাধকতা। যদিও এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই,যে অ্যালান অক্টিভিয়ান হিউমের মত একজন ব্রিটিশ নাগরিক কেবলমাত্র ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকারীদের ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার জন্য ১৮৮৫ সালে বোম্বাই শহরে তৎকালীন কংগ্রেস নামক যে মঞ্চের জন্ম দিয়েছিল, তারই ঔরসজাত সন্তান হল বর্তমান তৃণমূল, তাই স্বাভাবিক ভাবেই এরা বিদেশিদের রক্তে জন্ম নেওয়া দেশবিরোধী শক্তি হবে সেটাই স্বাভাবিক।

অন্যদিকে কমিউনিস্টদের চোখে ভারত হল একটি মাল্টিন্যাশনাল স্টেট,না! এটা আমার কথা নয়,যারা কমিউনিস্ট পার্টির ইতিহাস পড়াশোনা করেছেন,তারা সবাই জানেন। আর রাষ্ট্রের এই ভৌগলিক সীমারেখা কিংবা দর্শনগত দিক থেকে কমিউনিস্টরা কখনও ভারতের অঙ্গ হতে পারে না। এছাড়া সারা দেশ বিভিন্ন ইস্যুতে যেভাবে আক্রান্ত হচ্ছে তাতে জেহাদী শক্তির সক্রিয়তা যেভাবে শক্তিশালী হচ্ছে তাতে সমস্ত সনাতনী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে নামা জরুরী হয়ে পড়েছে।তার জন্য ঠিকাদার সংস্থার ওপর নির্ভর করে থাকলে আর চলবে না।

অগ্নিপথ পরিকল্পনা সারা পৃথিবীর উন্নত দেশকে স্মরণ করে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলা যায়। ইজরায়েলের মাটিতে সেনাবাহিনীতে কাজ করা বাধ্যতামূলক, আর ওই সেনা প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই ওই দেশের জাতীয়তাবোধ এত শক্তিশালী। আর আমাদের দেশে কিন্তু এই পরিকল্পনায় যোগদান বাধ্যতামূলক নয়, এটা একটা অবসান মাত্র।যারা এই তাণ্ডব চালাচ্ছে তারা কি সত্যিই সেনাবাহিনীর চাকরি প্রার্থী?

প্রশ্নটা অত্যন্ত জরুরি। যাদের ইচ্ছা হবে তারাই এই চাকরিতে যাবে। কিন্তু যারা সাধারণত স্থায়ী সেনাবাহিনীতে যুক্ত হতে চাইবেন তারা সেখানে যুক্ত হওয়ার জন্য পরীক্ষা দিতেই পারেন। আর এই চুক্তি ভিত্তিক সেনার যারা উপযুক্ত যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন তারা অবশ্যই সেনাবাহিনীতে থেকে যাবেন, অসুবিধা কোথায়? দিনের শেষে আরো আধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম আমাদের প্রয়োজন, আর তার জন্য প্রচুর অর্থ প্রয়োজন,আশা করি বুঝতেই পারছেন সেই অর্থের যোগান বৃদ্ধি এর মাধ্যমে কিছুটা হলেও সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *