নয়াদিল্লি, ১৪ জুন (হি.স.): ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর তলবের প্রতিবাদে ফের পথে নামল কংগ্রেস। মঙ্গলবার সকালে পুলিশি নির্দেশিকা অমান্য করে আকবর রোডে হাজির হন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের ঢুকতে বাধা দিলেও জোর করে ঢোকার চেষ্টা করেন তাঁরা। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, শ্রীনিবাস বি ভি-সহ বেশ কিছু কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপাল, অধীর রঞ্জন চৌধুরী, গৌরব গগৈ, দীপেন্দর সিং হুডা, রণজিৎ রঞ্জন, ইমরান প্রতাপগর্হি প্রমুখকে। তাঁদের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কংগ্রেস নেতা ও ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল বলেছেন, “আমাদের প্রতিবাদ চলবে। বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং নারায়ণ রাণের বিরুদ্ধে ইডি মামলার কী হল ?… আমাকে আটক করা হয়েছে।”
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোমবার টানা ৯ ঘণ্টা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট জেরা করেছিল কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। মঙ্গলবার ফের ইডি-র দফতরে হাজিরা দিয়েছেন রাহুল। সোমবারের ঘটনাপ্রবাহ থেকে শিক্ষা নিয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন হয়েছিল আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতরের বাইরে। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। তবে শুধু কংগ্রেসের সদর দফতরই নয়, ২ কিলোমিটার দূরে ইডি অফিসও কড়া নিরাপত্তার বেড়াজালে মুড়ে ফেলা হয়েছে। সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ রাহুল গান্ধীর বাসভবনে ঢুকতে দেখা যায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। তারপর তাঁরা সেখান থেকে যান দলের সদর দফতরে, এরপর রাহুল রওনা হন ইডির দফতরের উদ্দেশে।