Attack :চড়িলামে শিক্ষকের বাড়িতে হামলা, ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ জুন৷৷ উত্তর চড়িলাম মধ্যপাড়ায় শনিবার মধ্যরাতে দুষৃকতিদের আক্রমণে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়৷ কতিপয় দুষৃকতিকারী মুখে কালো মুখোশ পরিহিত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে এক শিক্ষকের বাড়িতে তাণ্ডব চালিয়েছে৷ বাড়ির টিনের বেড়া গেট চুরমার করে দেওয়াসহ ঘরের ভিতরে ঢুকে যাবতীয় আসবাবপত্র ভেঙ্গে চুরমার করে দেওয়া হয় এবং সোনার চেইন ছিনতাই করে নিয়ে যায় দুসৃকতিকারীরা৷ বাদ যায়নি ঠাকুর ঘরও৷ শনিবার রাত বারোটায় একদল দুষৃকতি উন্মত্ত তাণ্ডব চালায় এক শিক্ষকের বাড়িতে৷ দা লাঠি বল্লম দিয়ে বাড়িঘর কুপিয়ে ফালাফালা করে দেয়৷ দুষৃকতি দলে কম করে ১২ থেকে ১৪ জন ছিল বলে শিক্ষকের ধারণা৷ ঘটনা চড়িলাম বাজার সংলগ্ণ উত্তর চড়িলাম মধ্যপাড়ায় সর্বশিক্ষার শিক্ষক সজল ভট্টাচার্যের বাড়িতে৷ বাড়িতে তখন ছিল সজল ভট্টাচার্য, তার ছেলে সুদীপ ভট্টাচার্য এবং শিক্ষকের শ্রী শুক্লা ভট্টাচার্য৷ তারা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ঘুমোতে যাবেন এমন সময় একটি বোলেরো গাড়ি বাড়ির প্রবেশদ্বার এর সামনে এসে দাঁড়ায়৷ গাড়ি থেকে দুষৃকতিরা নেমে প্রথমে দা দিয়ে বাড়ির গেইট কুপিয়ে টুকরা টুকরা করে ফেলে৷ এরপর বাড়ি ঘরের সমস্ত টিনের বেড়া গুলো কুপিয়ে ফালাফালা করে দেয়৷ ঘরের আসবাবপত্র ও চুরমার করে দেয়৷  লাঠি দা দিয়ে পুরো বাড়িতে  কুপোতে থাকে৷ ভয়ে ঘরের মধ্যে সবাই চিৎকার করতে শুরু করে৷  শিক্ষকের স্ত্রী দরজার সামনে এসে দাঁড়ায়৷ শিক্ষকের স্ত্রীর গলাতে স্বর্ণের চেইন ছিল৷ স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায় দুসৃকতিকারীরা৷ স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার সময় এক জন দুষৃকতি ঘরের মধ্যে মেঝেতে পড়ে যায়৷  তিনজন দুষৃকতী ঘরের মধ্যে প্রবেশ করেছিল৷ বাকিরা বাইরে তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছিল৷ ঘরের মধ্যে যে তিন জন দুষৃকতি প্রবেশ করেছিল তাদের দুজনের মুখ কালো কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল৷ একজনের মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল৷ দুসৃকতিকারীরা বাড়িতে ঢুকে প্রথমে পুরো বাড়ির বিদ্যুৎ ছিন্ন  করে দেয় এবং বৈদ্যুতিক বাল্ব গুলো লাঠি দিয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়,যাতে করে দুষৃকতিকারীদের কেউ চিনতে না পারে৷ যখন দুসৃকতিকারীরা তাণ্ডব চালাচ্ছে তখন শিক্ষকের বাড়ির লোকজনের চিৎকারে পাড়ার মানুষ এক এক করে বেরিয়ে এসে দুষৃকতিকারীদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুললে দুসৃকতিকারীরা ভয়ে পালিয়ে যায়৷ পাড়ার মানুষ দুষৃকতিকারীদের পেছনে পেছনে পর্যন্ত অনেকটা ধাওয়া করেছে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়৷ এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং কঠোর শাস্তি মূলক শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে৷ পাশাপাশি এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য এলাকাবাসীর তরফ থেকে জোরালো দাবি জানানো হয়েছে৷
ত্তত্তত্তত্তত্তত্তত্ত্