BRAKING NEWS

Kalyanpur : নেশার সাগরে ভাসছে কল্যাণপুর

নিজস্ব প্রতিনিধি, কল্যাণপুর, ১১ জুন৷৷ গন্ধ যুক্ত নেশার চেয়ে গন্ধ মুক্ত নেশার দিকে ঝুঁকছে কল্যাণপুরের একাংশ যুবসমাজ৷ তারা নিজেরা তো ধবংস হচ্ছেই সাথে পরিবারকেও শেষ করে দিচ্ছে৷ কারণ নেশার টাকার জন্য তারা নানা অজুহাত দেখিয়ে পরিবার থেকে জোড় করে টাকা আদায় করছে৷ এই গন্ধহীন নেশার মূল হলো ব্রাউন সুগারের নেশা৷ যা নেশাখোরদের মধ্যে কৌটো নেশা নামেই পরিচিত৷ এই ব্রাউন সুগারের কবলে পড়ে নানা রোগেও আক্রান্ত হচ্ছে তারা৷ এর উপর বেআইনী দেশীয় মদ ও বিলাতী মদের নেশা তো আছেই৷ পুলিশের নাকের ডগায় এগুলো বিক্রি হলেও পুলিশ তেমন কোন ব্যবস্থা নেয় না৷ এমনও হয়েছে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে খোয়াই থেকে আবগারি দপ্তর ছুটে গিয়ে মদ আটক করেছে৷ কিন্তু বেআইনী মদ বিক্রেতাকে ধরতে পারেনি৷ কুঞ্জবন দীঘির পাড়ে এক ব্যাক্তি প্রকাশ্যে চোলাই মদ বিক্রি করছে৷ পুলিশ এর কাছে এর খবর নেই এটা মানা কোনভাবেই সম্ভব না৷ সূত্র মারফত জানা গেছে কল্যাণপুর থানা সংলগ্ণ মাখনলাল চক্রবর্তী সেতুর উপর দিনদুপুরে ব্রাউন সুগার বিক্রি হয়৷ নাম্বারবিহীন স্কুটি অথবা বাইক দিয়ে বিক্রেতারা কৌটো দিয়ে যায়৷ টাকা আদান প্রদান হয় গুগল পে এর মাধ্যমে৷ এছাড়াও বিভিন্ন বিদ্যালয় এর মোড় গুলোতে কম বয়সীদের মধ্যে এই মারণ নেশা সামগ্রী বিক্রি করা হয়৷ গোটা কল্যাণপুরের একই অবস্থা হলেও বিশেষত দাউছড়া, মোহরছড়া, বাজার কলোনী, অমর কলোনী, শান্তিনগর, তোতাবাড়ী, বাগানবাজারের অবস্থা খুব খারাপ৷ এই সব জায়গায় অবাধে চলে কৌটোর নেশা৷ গন্ধহীন হওয়ার কারণে পরিবারের লোকজনও প্রথমে টের পায় না৷ কিন্ত এই নেশা কোন কারণে বন্ধ হলে ওই ব্যক্তির দেখা দেয় উইথড্রল সিনড্রোম৷ তখনি সে পাগলের মতো নেশার জন্য আচরণ করতে থাকে৷ বাড়ির লোকজনও তখন হতবাক হয়ে যান৷ সাধারণ মানুষ চাইছেন প্রশাসন এই বিষয়ে আরও কঠোর হোক৷ নাম্বার বিহীন বাইক, স্কুটি গুলোকে চিহ্ণিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক৷ মদ এখন ফোন করলেই পাওয়া যায়৷ হোম ডেলিভারি৷ টাকা একটু বেশি গুনতে হয়৷ কিন্তু বাড়িতে বসেই মদ পাওয়া যায়৷ এছাড়া মদের বেআইনী ঠেক তো আছেই৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *