তেলিয়ামুড়া, ৭ জুন৷৷ আবারো হাতির আতঙ্ক ঘুম কেড়েছে মানুষজনদের৷ রাতের অন্ধকারে কিংবা প্রকাশ্য দিনের আলোতে যখন-তখন বন্য হাতির দল প্রবেশ করছে ঘন বসতি এলাকায়৷ বেশ কিছুদিন বনাঞ্চলে থাকার পর ফের বন্যহাতির দল সময়ে অসময়ে ঘনবসতি এলাকাগুলিতে প্রবেশ করছে৷ এতে ঘনবসতি এলাকার বসবাসকারী মানুষ জনের মধ্যে ফের বন্যহাতির আতঙ্ক দেখা দিয়েছে৷ বনদপ্তর আছে, আছে এ.ডি.এস টিমের কর্মীরাও৷ কিন্তু বনদপ্তরের কর্মীরা একপ্রকার কুম্ভনিদ্রায়৷ ঘটনা, তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনদপ্তরের অধিক চাকমাঘাটের বিস্তীর্ণ এলাকা সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায়৷
জানা যায়, বেশ কিছুদিন তেলিয়ামুড়া বেশ কয়েকটি বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে যেসকল ঘনবসতি এলাকাগুলি রয়েছে এই এলাকাগুলিতে হাতির আনাগোনা না থাকলেও, আবারও বেশ কিছুদিন ধরে রাতের অন্ধকারে হোক কিংবা দিনের আলোতে বন্য হাতি আচমকাই ঘনবসতি এলাকায় প্রবেশ করছে৷ ফলে ঐ সকল এলাকায় বসবাসকারী মানুষজনদের মধ্যে একপ্রকার আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে৷
উল্লেখ্য, তেলিয়ামুড়া মহাকুমা বনদপ্তর এর অধীন চাকমাঘাট সহ আরো বেশ কয়েকটি বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ঘনবসতি এলাকাগুলিতে দীর্ঘ বছর ধরে বন্য হাতির আক্রমণ হয়ে আসছিল৷ কিন্তু কিছু মাস পূর্বে তেলিয়ামুড়া মহাকুমা বনদপ্তর এর উদ্যোগে বিপুল অঙ্কের সরকারি অর্থের ব্যয় করে ‘অ্যাকশন প্ল্যান অপারেশনের’ মাধ্যমে বনের হাতিগুলিকে বনে পুনরায় পাঠিয়ে দেওয়ার এক প্রয়াস করেছিল৷ যদিও বনদপ্তর এর এই প্রয়াসে সামান্য কিছুদিন বন্যহাতি ঘন বসতি এলাকা থেকে দূরে থাকলেও ইদানিংকালে আবারো হাতির দল আচমকাই প্রবেশ করছে ঘন বসতি এলাকায়৷ আচমকাই আবারো এলাকায় হাতির আনাগোনায় এলাকার মানুষজনদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে৷ রাতের অন্ধকারে হাতির আতঙ্কে এলাকার মানুষজনকে ঘর থেকে বেরিয়ে পাহারা দিতে হচ্ছে৷ যদিও হাতি তাড়ানোর কাজে নিয়োজিত এ.ডি.এস টিমের কর্মীরা হাতির দলকে তৎক্ষণাৎ ঘনবসতি এলাকা থেকে দূরে জঙ্গলে পাঠিয়ে দিচ্ছে৷ কিন্তু বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থের আদ্যশ্রাদ্ধ করে বন্য হাতির দলকে পুনরায় জঙ্গলে পাঠাতে যে নাটক মঞ্চস্থ করেছিল তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনদপ্তর, সেটা আদৌ কতটা কার্যকরী হয়েছে, জনমনে উঠছে প্রশ্ণ!