আগরতলা, ৭ জুন৷৷ শিক্ষিত ভদ্র সমাজে আজও নাবালক- নাবালিকার বিবাহের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে৷ বর-কনে দুজনেরই আইন অনুসারে বিবাহের বয়স হয়নি৷ এমন দৃশ্য প্রত্যক্ষ করা গেল মঙ্গলবার তেলিয়ামুড়ায়৷ তেলিয়ামুড়া মহকুমা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ভেস্তে গেল নাবালিকা বিবাহ৷ ঘটনা তেলিয়ামুড়া থানাধীন ত্রিশাবাড়ি এলাকায়৷ এই ঘটনার বিবরণ দিয়ে তেলিয়ামুড়া মহকুমা প্রশাসনের ডি.সি.এম বাপ্পাদিত্য রায় চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর আসে তেলিয়ামুড়া ত্রিশাবাড়ি এলাকায় নাবালিকা ছেলে এবং মেয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে৷ এমন খবর আসা মাত্রই ডি.সি.এম বাপ্পাদিত্য রায় চৌধুরী পুলিশ এবং চাইল্ড লাইনের কর্মীদের নিয়ে ত্রিশাবাড়ি স্থিত তপন কর্মকারের বাড়িতে হানাদারি চালায়৷ কথা ছিল তপন কর্মকারের নাবালক ছেলের সঙ্গে করইলং স্থিত জৈনক ব্যাক্তির নাবালিকা কণ্যার বিবাহ হবে মঙ্গলবার৷ প্রশাসনের জিজ্ঞাসাবাদে ছেলের পক্ষ এবং নাবালিকার পক্ষ অস্বীকার যায়৷ তারা প্রশাসনের ওই দলটির কাছে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তারা বলতে থাকে তারা প্রাপ্তবয়স্ক৷ কিন্তু বৈধ কাগজপত্র সামনে আসতেই দেখা যায় তপন কর্মকারের ছেলে নাবালক এবং করইলং এলাকার জনৈক ব্যাক্তির কণ্যাটিও নাবালিকা৷ পরে প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশ নাবালক ছেলে, তার মা,বাবা সহ নিকট আত্মীয় এবং নাবালিকার পক্ষে নাবালিকার মাকে থানায় তুলে নিয়ে আসে৷ তবে বিজ্ঞান যত উন্নত হচ্ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নাবালক নাবালিকা বিবাহ দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে৷ সুশীল সমাজে যা নিন্দনীয় বিষয়৷ কিন্তু সুশীল সমাজে একাংশ শিক্ষিত শ্রেণীর মানুষজন তালিম দিচ্ছে পরোক্ষভাবে নাবালক নাবালিকা বিবাহ প্রথাকে৷ অন্যদিকে সমাজের একাংশ শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সচেতন মহলের অভিমত, নাবালক-নাবালিকা বিবাহ বন্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক সচেতনতামূলক কর্মসূচির ঘাটতি রয়েছে৷