বিলোনীয়া, ৩০ মে৷৷ ব্যাংকে টাকা রেখে মানুষ নিশ্চিন্তে থাকেন৷ মানুষের বিশ্বাসযোগ্য ও বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হল ব্যাংক৷ আর এই ব্যাংক যখন টাকা নিয়ে মানুষের সাথে জালিয়াতি কিংবা প্রতারণা করে তখন মানুষের বিশ্বাস উঠে যাওয়াটাই স্বাভাবিক৷ তথ্য প্রমান সহ এই ধরনের একটি আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ উঠে এলো বিলোনিয়া বনকর আইডিবিআই ব্যাংক শাখার বিরুদ্ধে৷ আর এই নিয়ে ব্যাংক গ্রাহকদের মধ্যে উদ্বেগ এবং চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷
বিলোনিয়া কলেজ স্কোয়ারের বাসিন্দা আইডিবিআই ব্যাঙ্কের গ্রাহক দীপঙ্কর সাহা আজ ব্যাংকে এসে দেখে তার অ্যাকাউন্ট থেকে দীর্ঘ এক মাস আগে ২৬০০০ টাকা চলে যায়৷ এই দেখে দীপঙ্কর সাহার মাথায় বাজ পড়ার মত অবস্থা৷ তখন খোঁজ নিয়ে দেখা যায় কলেজ স্কোয়ার এলাকার আরেক গ্রাহক সৌরভ বৈদ্যের একাউন্টে সেই টাকা চলে গেছে৷ তখন ব্যাংক থেকে সৌরভ বৈদ্যকে ফোন করা হলে বিষয়টি জানতে পেরে সৌরভ বৈদ্যের আকাশ থেকে পড়ার মত অবস্থা৷ অর্থাৎ যার একাউন্ট থেকে টাকা গেছে সে যেমন জানেনা আবার যার একাউন্টে টাকা গেছে সেও জানে না৷ এর মাঝে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে ব্যাংকের সেলস এক্সিকিউটিভ প্রীতম পাল৷
ব্যাংকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় দীপঙ্কর সাহা৷ সে জানায় একাউন্ট থেকে টাকা চলে যাওয়ার বিষয়ে তার কাছে কোন মেসেজও আসেনি৷ এছাড়া সে কাউকে চেক দেয়নি ও নেয়নি৷ সৌরভের সাথে তার কোন লেনদেনও নেই৷ সেই কথা স্বীকার করেছে দীপঙ্কর এবং সৌরভ দুজনেই৷ আর উভয়ই এই ঘটনার জন্য ব্যাংকের কর্মী প্রীতম পালকে দায়ী করেন৷
এদিকে অভিযুক্ত প্রীতম পালের দাবি সৌরভ নিজেই মানিট্রান্সফার রিসিপ্ঢে দীপঙ্করের স্বাক্ষর এনে দিয়েছে৷ আর সৌরভ জানায় প্রীতম সব মিথ্যে কথা বলছে৷ উভয়ের কথোপকথন এবং ব্যবহারে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টা ফুটে উঠছে৷ ব্যাঙ্ক ম্যানেজার অভ্রদীপ সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন৷ তিনি ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটার আশ্বাস দেন৷ পাশাপাশি তিনি গ্রাহকদের আশ্বস্ত করেন ব্যাংকে গ্রাহকদের গচ্ছিত অর্থ সুরক্ষিত৷ অযথা গ্রাহকরা বিচলিত না হয়ে ব্যাংকের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বিশ্বাস রাখার আবেদন জানান৷
তিনি এও জানান, যে ঘটনা ঘটেছে সেই টাকা রিফান্ড করা হয়েছে৷ তবে প্রীতম পালের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের তদন্ত হবে এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে৷ তাই ব্যাংক গ্রাহকদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য আবেদন জানান তিনি৷ তবে দীপঙ্কর সাহা এই ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত এবং এই ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এবং শাস্তির দাবিতে বিলোনিয়া থানাতে মামলা করেন৷ এখন দেখার বিষয় ব্যাংক এবং পুলিশি তদন্তে এই ঘটনার প্রকৃত সত্য কি উঠে আসে৷