হাফলং (অসম), ২৩ মে (হি.স.) : লামডিং-বদরপুর ব্রডগেজ প্রকল্পের কাজ এবং শিলচর-সৌরাষ্ট্র ইস্ট-ওয়েস্ট করিডোর নির্মাণকাজের তদন্ত দাবি করেছেন সারা অসম ছাত্র সংস্থা (আসু)-র মুখ্য উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য। প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত ডিমা হাসাও জেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনে এসে আসু-র মুখ্য উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য বলেন, ডিমা হাসাও জেলায় যে প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে এসেছে তা লামডিং-বদরপুর ব্রডগেজ প্রকল্প ও শিলচর-সৌরাষ্ট্র ইস্ট-ওয়েস্ট করিডোর নির্মাণ বিজ্ঞানসম্মত ভাবে না হওয়ায় সংঘটিত হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ তুলেন তিনি।
সমুজ্জ্বল বলেন, ডিমা হাসাও জেলার সাধারণ মানুষের একই অভিযোগ। তাই এই দুটি প্রকল্পের নির্মাণকাজ নিয়ে অবশ্যই তদন্ত হওয়া উচিত। সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য বলেন, ডিমা হাসাও জেলায় ভূমিঙ্খলন ও বন্যায় রেলপথ এভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পরও কেন্দ্রীয় সরকার চুপ। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষও চুপ করে রয়েছে। এত বড় বিপর্যয়ের পর কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী এখানে আসার প্রয়োজন বোধ করেননি। তিনি বলেন, জনগণের জীবন নিয়ে খেলার কোনও অধিকার রেল বিভাগের নেই। সমুজ্জ্বলের অভিযোগ, মাটির গুণগত মান অধ্যয়ন না করেই রেলপথ নির্মাণ ও চার লেন সড়ক নির্মাণ করে এই বিপর্যয় ডেকে আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, শিলচর-সৌরাষ্ট্র চারলেন সড়ক নির্মাণের আগেই সড়কপথ বহু জায়গায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে শুধু বিজ্ঞানসম্মতভাবে নির্মাণকাজগুলি না হওয়ায়। সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য আরও বলেন, আজ থেকে একশো বছর আগে বিটিশরা যে লামডিং-বদরপুর মিটার গেজ রেলপথ নির্মাণ করেছিল, তা আজ পর্যন্ত অক্ষত, রেলপথের টানেল এবং সেতুগুলিও অক্ষত রয়েছে। তাই লামডিং-বদরপুর ব্রডগেজ রেলপথ ও শিলচর-সৌরাষ্ট্র ইস্ট-ওয়েস্ট করিডোর নির্মাণকাজ নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আসু-র মুখ্য উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য।
এদিকে লামডিং-বদরপুর ব্রডগেজ রেলপথ মেরামতি করে সচল করে তুলতে রেলমন্ত্রক ১৮০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। তাছাড়া পাহাড় লাইনকে সচল করে তুলতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রেলপথ মেরামতি ও সারাইয়ের কাজ চলছে। এছাড়া নিউহাফলং স্টেশনে যাওয়ার সংযোগী পথটির বেশ কিছু জায়গায় ভয়ঙ্কর ভূমিঙ্খলন সংঘটিত হওয়ায় পথটি বন্ধ রয়েছে। এবার ধস সরিয়ে এই পথ সচল করে তুলতে নির্মাণ সংস্থা কাজে হাত দিয়েছে। ধস সারাইয়ের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পরই নির্মাণ সংস্থা তাদের নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে আসবে নিউ হাফলং স্টেশনে।
নির্মান সংস্থার জনৈক কর্মী সোমবার জানান, নিউহাফলং স্টেশনে যাওয়ার সংযোগী পথটি ধস সরিয়ে চলাচলের উপযোগী করে তুলতে আরও দুই তিনদিন সময় লেগে যেতে পারে।