নয়াদিল্লি, ২২ মে (হি.স.) : দুইদিনের সফরে জাপানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । রবিবার সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানে টোকিওর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন ।২৩ মে সকালে টকিও পৌঁছবেন। আর সেখানে পৌঁছেই কাজ শুরু করে দেবেন বলেই খবর। পিএম মোদী জাপানে শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। শুধু তাই নয়, প্রবাসীদের উদ্দেশ্যেও বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এরপরের দিন কোয়াড মিটিংয়ে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে পিএম মোদীর। দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। আর তা শেষ করেই ওই রাতেই ভারতের উদ্দেশ্যে ফের একবার ফিরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন জাপানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার আগে এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে আমি ২৩ থেকে ২৪শে মে, ২০২২ জাপানের টোকিও সফরে যাচ্ছি। চলতি বছরের মার্চ মাসে, চতুর্দশ ভারত – জাপান বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ভারতে এসেছিলেন। আমার টোকিও সফরের সময়ে আমি ভারত – জাপান বিশেষ কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরো শক্তিশালী করে তোলার লক্ষ্যে তার সঙ্গে আলাপচারিতা আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছি। তিনি জানান, জাপানে আমি কোয়াড নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনেও যোগ দেবো। এই উপলক্ষ্যে কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত চার দেশের নেতারা এই সংগঠনের কাজকর্মের অগ্রগতি পর্যালোচনা করার সুযোগ পাবেন। এছাড়া ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়ন এবং পারস্পরিক স্বার্থযুক্ত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আমাদের মধ্যে কথা হবে।
তিনি আর বলেন, আমি মার্কিন রাষ্ট্রপতি জোসেফ বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবো। এই বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বহুমুখী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো নিবিড় করার পন্থা – পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হবে। আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আমরা মতবিনিময় করবো।
এই সফরে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিসের সঙ্গে আলোচনার কথা রয়েছে তাঁর । এবিষয়ে তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিস এই প্রথম কোয়াড নেতাদের সম্মেলনে যোগ দেবেন। আমি তাঁর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের অপেক্ষায় রয়েছি, যেখানে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের আওতায় বহুমুখী সহযোগিতা এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
তিনি ভারত-জাপান সম্পর্ক নিয়ে বিশেষ উৎসাহ দেখা যায় তাঁর বিবৃতিতে। তিন বলেন, ভারত ও জাপানের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা আমাদের বিশেষ কৌশলগত ও বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। গত মার্চের শীর্ষ সম্মেলনের সময়ে প্রধানমন্ত্রী কিশিদা এবং আমি আগামী ৫ বছরে জাপান থেকে ভারতে সরকারী, বেসরকারী বিনিয়োগে জেপিওয়াই ৫ ট্রিলিয়নের লক্ষ্য স্থির করেছিলাম। এই লক্ষ্য পূরণে আমি জাপান সফরের সময়ে সে দেশের অগ্রণী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলবো এবং আমাদের অর্থনৈতিক সংযোগ আরো মজবুত করে তোলার চেষ্টা করবো্লে ।
জাপানে প্রায় ৪০ হাজার প্রবাসী ভারতীয় বাস করেন। তারা ভারত– জাপান সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। আমি তাঁদের সঙ্গে কথা বলার জন্যও উন্মুখ হয়ে আছি।