BRAKING NEWS

Investigating : বটদ্রবা থানা দহন কাণ্ডের তদন্তে সিট, জানান এসডিজিপি জিপি সিং কথিত হেফাজতে ব্যক্তি-মৃত্যুর সাথে জড়িত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

নগাঁও (অসম), ২২ মে (হি.স.) : বটদ্রবা থানা দহন কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকলকে গ্রেফতার করা হবে। ঘটনার তদন্ত করতে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) গঠন করা হবে। এছাড়া কথিত হেফাজতে ব্যক্তির মৃত্যুরও তদন্ত হবে। এর সঙ্গে কোনও পুলিশ অফিসার জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানিয়েছেন অসমের স্পেশাল ডিজিপি (আইন-শৃঙ্খলা), ভিজিল্যান্স অ্যান্ড অ্যান্টি-করাপশনের ডিরেক্টর জ্ঞানেন্দ্ৰপ্ৰতাপ সিং।

আজ রবিবার সকালে নগাঁও পুলিশ সুপার প্রাঙ্গণে এসপি লীনা দলে এবং মধ্য অসমের ডিআইজিকে দুপাশে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে জিপি সিং বলেন, ‘গতকাল বটদ্রবা থানায় সংগঠিত ঘটনার তদন্তের জন্য একটি এসআইটি নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি সফিকুল ইসলামের মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্তেরও অনুরোধ করেছি। ৬০ দিনের মধ্যে এসআইটি তাদের রিপোর্ট জমা করবে।’ তিনি আরও বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। এছাড়া মৃত সফিকুলের ময়না তদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছেন। তার মৃতদের নির্দিষ্ট অঙ্গ ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে। আজই এখানে ফরেনসিক অফিসাররা আসবেন। তাঁরা আনুষঙ্গিক তদন্ত করবেন, বলেন এসডিজিপি সিং।

তিনি বলেন, গতকাল যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে, ভিডিও ফুটেজে রেকর্ডেড দেখে তার সব ছবি দেখে দোষীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে গ্রেফতার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ২১ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৪ জন মহিলা। আটকদের মধ্যে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এসডিজিপি জিপি সিং বলেন, ‘কথিত আটক ব্যক্তির মৃত্যুর সাথে জড়িত পুলিশদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যা-ই হোক, এর অর্থ এই নয় যে একটি থানাকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। অগ্নিসংযোগের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না, এটা নাশকতরার পর্যায়ে পড়ে।’

শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক আরও বলেন, সফিকুল ইসলামকে তার স্ত্রী থানা থেকে নিয়ে যান এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ইসলাম মারা গেছে। কিন্তু তার পরিবার দাবি করছে, সেখানে তাকে মৃত অবস্থায় তারা উদ্ধার করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *