বেজিং, ১৬ মে (হি. স.) : আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের পাশে দাঁড়াল চিন । দেশে গমের আকাল তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে বিদেশে গম রফতানির উপর বিধিনিষেধ কার্যকর করেছে নয়াদিল্লি। ভারতের এই অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করেছে জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। এই প্রসঙ্গে চিনের বক্তব্য হল, ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলিকে কাঠগড়ায় তুলে কখনই বিশ্বব্যাপী খাদ্য সঙ্কটের সমাধান করা যাবে না। উদ্যোগী হতে হবে প্রথম বিশ্বের রাষ্ট্রগুলিকেই।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই কেন্দ্রের তরফে গম রফতানির ক্ষেত্রে বড়সড় রদবদল ঘটানো হয়। এই প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, রফতানির তালিকায় গমকে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করা হচ্ছে এবং এই নিষেধাজ্ঞা এই মুহূর্ত থেকেই কার্যকর করা হচ্ছে। এর জন্য রফতানি বিষয়ক নীতিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনীও আনে কেন্দ্রীয় সরকার।
কিন্তু, ভারত সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনায় সরব হয় জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। তাদের বক্তব্য, যে দেশগুলি এত দিন ভারতের কাছ থেকে নিয়মিত গম আমদানি করত, নয়াদিল্লির সিদ্ধান্তে তারা বিপদে পড়বে। অন্যদিকে, এই যুক্তি মানতে নারাজ চিন! তবে, সরকারিভাবে বেজিং এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। কিন্তু, চিনের সংবাদমাধ্যম সরাসরি ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। চিনের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, “এই বিষয়ে ভারতকে দোষারোপ করে কোনও লাভ হবে না। এটা ঠিক যে বিশ্বের গম উৎপাদক দেশগুলির মধ্যে ভারতের স্থান দ্বিতীয়। কিন্তু, গোটা বিশ্বে গম রফতানির ক্ষেত্রে ভারতের অবদান খুবই নগণ্য। উলটো দিকে, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধীনস্ত দেশগুলি তুলনায় অনেক বেশি গম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি করে।” চিনা সংবাদমাধ্যমের যুক্তি হল, বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশ কিছু পশ্চিমি রাষ্ট্র গমের রফতানিতে কাটছাঁট করেছে। তাই তাদের মুখে অন্তত ভারতের সমালোচনা মানায় না! চিনের এভাবে ভারতের পক্ষ নেওয়া অবাক করেছে ওয়াকিবহাল মহলকেও।