করিমগঞ্জ (অসম), ১৫ মে (হি.স.) : গত কয়দিনের লাগাতার বর্ষণে ভূতল ও রেল সড়কপথে গোটা বরাক উপত্যকার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দেশ। গুয়াহাটি-বদরপুর রোডে মেঘালয়ের সোনাপুর থেকে রাতাছড়া পর্যন্ত ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের বহু জায়গায় ধস নামার ফলে হাজার হাজার মানুষ মাঝরাস্তায় আটকে পড়েছেন।
রাস্তায় আবদ্ধদের মধ্যে শনিবার গুয়াহাটির খানাপাড়া পশু চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের মাঠ থেকে ১১টি সরকারি বিভাগে চাকরির নিয়োগপত্র হাতে নিয়ে বাড়ি ফেরত বহু প্রার্থী রয়েছেন। নিয়োগপ্রাপ্ত সহ বিভিন্ন যাত্রী হঠাৎ করে মাঝপথে আটকে পড়ায় তাঁদের আহার ও পানীয় জলের তীব্র সংকটে পড়তে হয়েছে। প্ৰকৃতির এই রুদ্ররূপে এক সঙ্গে রেল ও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
এ প্রসঙ্গে আজ গুয়াহাটির এক হোটেল থেকে পাথারকান্দির জনৈক শিক্ষক জানান, গতকাল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কর্তৃক নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে রাজ্যের অন্যান্য জেলার প্রার্থীরা নিজ নিজ গন্তব্যস্থলে পৌঁছে গেলেও গুয়াহাটিতে আটকে পড়ে যান বরাকের কাছাড়, করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি জেলার কয়েক হাজার প্রার্থী। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হওয়ায় অনাহারে অর্ধাহারে থাকতে হচ্ছে রাস্তায় আবদ্ধদের।
নিয়োগপত্র আনতে সীমিত পরিমাণের টাকা নিয়ে যাওয়ায় বর্তমানে তাঁদের হোটেল ভাড়া সহ খাওয়া-দাওয়া বাবদ অর্থ ব্যয়েও ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় কবে নাগাদ রেল ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে এ নিয়ে নেই কোনও নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না সরকারের পক্ষে। তবে বিষয়টি নিয়ে পাথারকান্দির বিধায়ক যথাসাধ্য তাঁদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানান তাঁরা।