BRAKING NEWS

Protest : কদমতলা-জুমটিল্লা রাস্তার বেহাল দশা, ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় জনগণ

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ১১ মে৷৷ দপ্তরের দায়সারা মনোভাব আর চরম উদাসীনতার ফলে জনদুভর্োগ একপ্রকার চরমে উঠতে শুরু করেছে৷ দাবি,বেহাল রাস্তা সংস্কারের৷ রাস্তা তো নয়,যেন মরণফাঁদ৷ভোটের বাক্সে জনগণ দেবে এর যোগ্য জবাব৷হ্যাঁ৷ এমনই চিত্র দেখা গেলো উত্তর ত্রিপুরা জেলার  ত্রিপুরা অসম সীমান্তের কুর্তি কদমতলা বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম বিধায়ক ইসলাম উদ্দিনের বিধানসভা এলাকার কদমতলা-জুমটিল্লার একমাত্র রাস্তায়৷বিগত বাম আমলে পিচ রাস্তাটি হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সারাইয়ের কোনো উদ্যোগ নেননি বিধায়ক ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর৷আর রাস্তাটির বেহাল দশার ফলে প্রায় প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে ছোট-বড় যান দুর্ঘটনা৷


অভিযোগ, প্রতিবছরের বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই যানবাহন নিয়ে যাতায়াত তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাফেরা করাও দূষ্কর হয়ে দাঁড়ায়৷তাছাড়া এই রাস্তার পাশেই রয়েছে কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েত,বাঘন উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়,বেসরকারি আমেজা ইংলিশ মিডিয়াম সুকল৷আর কচিকাঁচা ছাত্র ছাত্রীরা এক হাঁটু কাঁদা জল পেরিয়ে সুকলের গন্ডিতে পৌঁছতে হয়৷এক কথায় কদমতলা ব্লকের নাকের ডগায় উল্লেখিত বেহাল রাস্তাটির ফলে জনদুভর্োগ চরম থেকে চরম আকার ধারণ করেছে৷যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের বিপত্তি৷ মূলত কদমতলা থেকে জুমটিল্লা পর্যন্ত ৩.২৪৩ দৈঘর্ে্যর রাস্তাটি বেহাল দশার জন্য দপ্তরের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন এলাকার জনগণ৷বিগত দিনে বহুবার রাস্তা সংস্কারের দাবিতে কদমতলা পূর্ত দপ্তর এবং সমষ্টি উন্নয়ন দপ্তরের নিকট লিখিত অভিযোগ জানিয়েও ফলাফল মিলে অশ্বডিম্ব৷


এমনকি পূর্ত দফতরের প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা কুমারঘাট ডিভিশনেও বারবার লিখিত অভিযোগ জানিয়েও নীট ফল দাঁড়ায় শূন্য৷ এমনকি নিরুপায় হয়ে সানীয়রা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেল্পলাইন নম্বরেও এই রাস্তার করুন দশার কথা জানিয়ে সারাইয়ের আবেদন জানিয়েছেন৷ পাশাপাশি সানীয়রা বিগত কয়েক বছর ধরে নিজেদের মধ্যে টাকা সংগ্রহ করে বেহাল রাস্তাটি কিছুটা মেরামতি করলেও বর্ষার শুরুতেই ভগ্ণদশায় পরিণত হয়ে যায়৷

এদিকে কদমতলার পূর্ত দপ্তর আধিকারিককে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, বিগত ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার আওতায় এই রাস্তাটির কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল এইচ এস সি এল নামক একটি নির্মাণ সংস্থাকে৷ নির্মানের পাঁচ বছর পর্যন্ত সংস্কারের দায়িত্বও রয়েছিল তাদের৷কিন্তু নির্মাণ সংস্থাটি প্রথমবার কাজ শেষ করে আর সংস্কার করেনি৷যার ফলে পূর্ত দফতরকেও হস্তান্তর করা হয়নি৷ এককথায় এইচ এস সি এল কর্তৃপক্ষকে সরাসরি দায়ী করেন তিনি৷


তবে পাটা পোঁতার ঘষাঘষিতে মাঝখানে মরিচ বাবাজি অর্থাৎ জনগনের প্রান যে প্রায়, গেল গেল অবসায়৷আবার কেউ কেউ অভিযোগ করে বলছেন, সিপিআইএম বিধায়ক তাঁর বিধানসভা এলাকার বেহাল রাস্তার দূরবস্থা সমাধানের উদ্যোগ যেমন নেননি তেমনি এ নিয়ে বিধানসভায় তেমন আলোকপাত করেন না৷তাহলে বিধায়ক বাবু ইচ্ছে করেই বর্তমান বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকারকে বদনাম করার অপচেষ্টা করছেন নাতো? প্রশ্ণ নানা মহলের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *