আগরতলা, ১১ মে : প্রাইম মিনিস্টার ওয়াই-ফাই অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক ইন্টারেফেসের সূচনা হয়েছে আজ। তাতে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ১০টি রেল স্টেশনেও পাবলিক ওয়াই-ফাই পরিষেবা চালু হয়েছে। তালিকায় রয়েছে আগরতলা, ধর্মনগর এবং পানিসাগর স্টেশনও। এখন থেকে ত্রিপুরার যাত্রীরা ওই স্টেশনে ওয়াই-ফাই-র মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। রেলটেল ওই পরিষেবা প্রদান করছে।
প্রসঙ্গত, রেল মন্ত্রকের অন্তর্গত সেন্ট্রাল পাবলিক সেকটর এন্টারপ্রাইজঃএর একটি “মিনি রত্ন (ক্যাটাগোরি-১)” রেলটেল হলো দেশের অন্যতম সর্ববৃহৎ নিরপেক্ষ টেলিকম পরিকাঠামো প্রদানকারীর মধ্যে একটি সর্বভারতীয় অপটিক ফাইবার নেটওয়ার্কের শীর্ষস্থানীয় সংস্থা, যার আওতায় রয়েছে সমগ্র দেশের একাধিক নগর ও শহর এবং গ্রামাঞ্চল। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিজ্ঞ সমাজ তৈরি করার লক্ষ্যে রেলটেল কাজ করছে এবং টেলিকম ক্ষেত্রে ভারত সরকারের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য নির্বাচিত হয়েছে।
পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানিয়েছেন, ২৩৮৪টি ওয়াই-ফাই হটস্পট থাকা ১০০টি রেলওয়ে স্টেশনে নিজস্ব পাবলিক ওয়াই-ফাই পরিষেবার ভিত্তিতে রেলটেলের পক্ষ থেকে গত ৯ মে প্রাইম মিনিস্টার ওয়াই-ফাই অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস (পিএম-বাণী) প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই স্টেশনগুলি ২২টি রাজ্যে বিতাড়িত রয়েছে এবং এর মধ্যে ৭১টি স্টেশন এ১, এ ক্যাটাগোরির ও ২৯টি স্টেশন অন্যান্য ক্যাটাগোরির অন্তর্ভুক্ত।
তিনি জানান, ভারতের এই ১০০টি রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অধিক্ষেত্রের অধীনে রয়েছে ১০টি রেলওয়ে স্টেশন। এগুলি হলো যথাক্রমে শিলিগুড়ি, নিউ জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, ঘুম, গোয়ালপাড়া টাউন, কামাখ্যা, গুয়াহাটি, আগরতলা, ধর্মনগর ও পানিসাগর। এই ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক উপলব্ধ করার জন্য বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ভিত্তিক ‘Wi-DOT’ নামে একটি অ্যাপ ব্যবহার করা যেতে পারে, যা Google Play Store-এ পাওয়া যায়।
তাঁর কথায়, রেলটেল-এর ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ১৭,৭৯২টি ওয়াই-ফাই হটস্পটযুক্ত ভারতের ৬১০২টি রেলওয়ে স্টেশনে ছড়িয়ে রয়েছে এবং এখনও এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রেলটেল-এর পাবলিক ওয়াই-ফাই পরিষেবা পিএম-ওয়ানি ভিত্তিক অ্যাকসেস জুন, ২০২২-এর শেষের মধ্যে (১০ জুনের মধ্যে মোট ১০০০টি স্টেশন, ২০ জুনের মধ্যে ৩০০০টি স্টেশন এবং ৩০ জুন, ২০২২-এর মধ্যে সমস্ত ৬১০২টি) পর্যায়ক্রমিকভাবে ৬১০২টি রেলওয়ে স্টেশনেই (যেখানে ইতিমধ্যে ওয়াই-ফাই সুবিধা উপলব্ধ) সম্প্রসারিত করা হবে।
তিনি বলেন, ব্যবহারকারীদের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট অ্যাকসেস প্রদানের জন্য লাস্ট মাইল কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে ওয়াই-ফাই হটস্পট এক মুখ্য ভূমিকা পালন করে। পিএম-ওয়ানি হলো সাধারণ মানুষের জন্য ব্রডব্যান্ডের সহজ ব্যবহার ও ব্যবহারের প্রসার বৃদ্ধি করার জন্য ভারত সরকারের টেলিকম বিভাগের একটি উচ্চাভিলাষী কর্মসূচি। পিএম-বাণীর পরিকাঠামোর বিন্যাস ও বিকাশ করেছে সি-ডট এবং এই পিএম-বাণী প্রকল্পের জন্য ভারতীয় রেলওয়ের একটি জোন হিসেবে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে অদূর ভবিষ্যতে অত্যধিকভাবে লাভাম্বিত হবে।

