বাজারিছড়া (অসম), ১০ মে (হি.স.) : যমজ দুটি দুধের শিশুকে পতিগৃহে ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়ে গেছেন জন্মদাত্রী মা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে করিমগঞ্জ জেলার বাজারিছড়া থানাধীন সলগইবাজার এলাকায়। সলগইবাজারের বাসিন্দা প্রয়াত পরিমল দাসের তৃতীয় ছেলে স্বামী বাঁশি দাস বাজারিছড়া থানায় তাঁর নিখোঁজ পত্নীর সন্ধান বের করতে আর্জি জানিয়ে এফআইআর করেছেন।
বাঁশি দাস জানান, কর্মসূত্রে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বেঙ্গালুরুতে একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন। সেখানে তাঁর সাথে পরিচয় হয় কাছাড়ের পালংঘাট এলাকার জনৈক চান্দু দাসের কন্যা রীতা দাসের। এক সময় পরস্পরকে ভালোবেসে তাঁরা বিয়ে করে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। গত সাত মাস আগে তাঁদের ঘরে যমজ পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে শিশু দুটিকে লালনপালন করতে তাঁদের অসুবিধা হচ্ছিল। তাই সম্প্রতি তাঁরা সপরিবারে বাড়ি চলে আসেন।
তিনি আরও জানান, তাঁরা নিজের বাড়িতে আসার পর স্ত্রী রীতা তাঁকে ফের বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি শুরু করেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে সামান্য ঝগড়া-বিবাদ চলছিল।
এরই মধ্যে গত রবিবার সকালে রীতা নিজের দুধের দুটি শিশুকে বাড়িতে রেখে পরিবারের লোকদের চোখের আঁড়ালে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। তাঁকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর করেও পাওয়া যায়নি। পরেরদিন তিনি বাজারিছড়া থানায় পত্নীর নিখোঁজ সংক্রান্ত এক এজাহার দাখিল করে পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন। বাঁশি দাসের ধারণা, তাঁর স্ত্রী বাপের বাড়িতে চলে যেতে পারেন। কিন্তু তিনি শ্বশুর বাড়ি বা পালংঘাট এলাকার সঙ্গে পরিচিত নন। কয়েক মাস আগে ডাক্তার দেখাতে একদিন রাতে তিনি সপরিবারে সেখানে গেলেও তাঁর পক্ষে শ্বশুর বাড়ির গ্রাম নাকি চেনা হয়নি। তবে শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে ফোনযোগে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা রীতার কোনও খবর জানেন না বলে নাকি জানিয়েছেন।
মায়ের অবর্তমানে দুটি কোলের শিশুকে নিয়ে ব্যািপক বিড়ম্বনায় পড়েছেন তিনি। এরা মায়ের জন্য কেঁদে কেঁদে ব্যাকুল হয়ে উঠছে। নিখোঁজ স্ত্রীকে ফিরিয়ে দিতে অসহায় স্বামী পুলিশ সহ মহিলা সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনের সাহায্য কামনা করেছেন।