Arrested : কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মনের গাড়ির চালক ও দেহরক্ষীকে মারধর, ধৃত তিন জেল হেফাজতে

আগরতলা, ২ মে(হি. স.): প্রাক্তন স্বাস্থ্য মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মনের গাড়ির চালক ও দেহরক্ষীর উপর হামলার ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের আজ আদালতে সোপর্দ করছিল পুলিশ। আদালত তিনজনকে ১৫ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে। বিরোধী দলের নেতার উপর হামলার ঘটনায় ত্রিপুরা জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কিন্ত, পুলিশ খুবই দ্রুততার সাথে অপরাধীদের জালে তুলতে সক্ষম হওয়ায় সমালোচনা অনেকটাই এড়ানো সম্ভব হয়েছে। শুধু তাই নয় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে পারছেন না।

রবিবার আইনি পরামর্শ নিতে কৃষ্ণনগরস্থিত সিনিয়র আইনজীবী সমিক দেবের বাড়ি গিয়েছিলেন সুদীপ রায় বর্মণ। সাথে তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষীও ছিলেন। অভিযোগ, হটাৎ ৪০-৫০ জনের একদল দুষ্কৃতিকারী সেখানে জড়ো হন এবং সুদীপ বাবুর গাড়ির চালক ও ব্যক্তিগত দেহরক্ষীকে মারধর করেন। আরও অভিযোগ, সুদীপ বাবুর দেহরক্ষীর আগ্নেয়াস্ত্র দুষ্কৃতিকারীরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।

ওই ঘটনার খবর পশ্চিম আগরতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেছে। সুদীপ রায় বর্মণ ওই ঘটনায় বিচার চেয়ে পশ্চিম আগরতলা থানায় মামলা করেন। এদিকে, কংগ্রেস ওই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ কুমার সাহার কংগ্রেস গতকাল সন্ধ্যায় পশ্চিম আগরতলা থানা ঘেরাও করেছিল। পরবর্তীতে অপরাধীদের গ্রেফতারে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে থানা ঘেরাও মুক্ত করেছে কংগ্রেস।

এরই মধ্যে সিপিএম, তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিআই সুদীপ রায় বর্মনের উপর হামলার তীব্র জানিয়েছে। সাথে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ঘটনা সম্পর্কে জেনে ত্রিপুরা পুলিশের মহা নির্দেশককে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তাতে, গতকাল রাতেই পুলিশ একজনকে গ্রেফতারে সক্ষম হয়েছিল। আজ সকালে আরও দুইজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

এপিপি খোকন দেবনাথ জানিয়েছেন, সুদীপ রায় বর্মনের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশ আগরতলা দশমীঘাট এলাকার বাসিন্দা বাপ্পা নন্দী(৩৭) এবং জয়পুর এলাকার বাসিন্দা শুভাশীষ লাহিড়ী(৪৭) ও আব্দুল সাহিম(৩২)-কে গ্রেফতার করেছে। তাদের আজ অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট-র আদালতে সোপর্দ করেছিল পুলিশ। আদালত তাদের ১৫ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সুদীপ বাবুর ব্যক্তিগত দেহরক্ষীর আগ্নেয়াস্ত্র দুষ্কৃতিকারীরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়নি। ঘটনাস্থলেই ওই অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।

ওই ঘটনা সম্পর্কে প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা জানিয়েছেন, দুষ্কৃতিকারীরা সুদীপ বাবুকে লক্ষ্য করেই সেখানে গিয়েছিল। কিন্ত, তাঁর বদলে গাড়ির চালক ও দেহরক্ষীকে মারধর করেছে। আশীষ বাবু বলেন, মারধরের ফলে গাড়ির চালকের হাত ভেঙ্গে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *