আগরতলা, ২৮ এপ্রিল(হি. স.): কাঁটা তারের বেড়া অতিক্রম করে পাঁচ বাংলাদেশী নাগরিকের গরু পাচারের চেষ্টার ঘটনায় বিএসএফের গুলিতে একজন আহত হয়েছেন। বিএসএফ জওয়ানরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তার সঙ্গী অন্য চার বাংলাদেশী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। আজ ভোর রাত তিনটা নগদ উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ধর্মনগর রাগনা সীমান্তে গবাদী পশু পাচারের বিরুদ্ধে বিএসএফ সফলতা অর্জন করেছে।
প্রসঙ্গত, সীমান্ত ডিঙ্গিয়ে বাংলাদেশে গরু পাচারের ঘটনা ত্রিপুরায় প্রায় প্রতিদিন ঘটে চলেছে। দুই দিন আগেও পানিসাগরে বিএসএফ জওয়ানরা আটটি গবাদী পশু সহ এক পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ওই পাচারকারীকে বিএসএফ জওয়ানরা পানিসাগর পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।
ওই ঘটনার দুই দিনের মধ্যে পুণরায় বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীরা কাঁটা তারের বেড়া ডিঙ্গিয়ে গবাদী পশু পাচারের চেষ্টা করেছে। আজ ভোর রাত তিনটা নাগাদ রাগনা সীমান্ত দিয়ে 5 জন বাংলাদেশী নাগরিক ত্রিপুরায় প্রবেশ করেছিল। সীমান্তে টহলরত বিএসএফের ১৩৯ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানদের নজরে আসতেই তাঁরা অনুপ্রবেশকারীদের পিছু ধাওয়া করেন। তাদের থামাতে বিএসএফ জওয়ান নন-ল্যাথেল বন্দুক থেকে চার রাউন্ড গুলি ছুড়েন। তাতে একজন অনুপ্রবেশকারীর দেহে গুলি লাগে এবং বিএসএফ জওয়ানরা তাকে আটক করতে সক্ষম হন।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত অনুপ্রবেশকারীর নাম নজরুল মিয়া(৩৭)। তার সঙ্গী সোহেইল মিয়া(৩৬), সুলতান মিয়া(২৮), মন্তর নিয়া(৩০) এবং বাচ্চু মিয়া পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। পুলিশ সুত্রে খবর, ওই পাঁচ অনুপ্রবেশকারীর সাথে অস্ত্র ছিল। বিএসএফ গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়েছিল। সূত্রের দাবি, ওই অনুপ্রবেশকারীরা ত্রিপুরায় ফারুক মিয়া এবং আমিনুল ইসলামের সাথে গরু পাচারের জন্য যোগাযোগ করেছিলেন।
বিএসএফ কমান্ডেন্ট কৃপা শংকর শুক্লা জানিয়েছেন, বাচ্চু মিয়া ইতিপূর্বে গরু পাচারের সাথে জড়িত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর গরু পাচার হ্রাস পেয়েছিল। কিন্ত, পুণরায় পাচারকারীরা সক্রিয় হয়েছেন। তবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এদিকে, আহত অনুপ্রবেশকারী নজরুল মিয়াকে বিএসএফ ধর্মনগর পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। তাকে প্রথমে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্ত, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে জি বি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে জি বি হাসপাতালে তার চিকিত্সা চলছে।