BRAKING NEWS

প্রীতি ক্রিকেটে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক-কে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরালো জেআরসি

ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ এপ্রিল।। প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ। ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক বনাম জার্নালিস্ট রিক্রিয়েশন ক্লাব-এর মধ্যে। টি-টোয়েন্টি আদলে ম্যাচটা এতটাই উপভোগ্যকর ছিল, প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই সত্যিকার অর্থেই অভিভূত। পুলিশ ট্রেনিং একাডেমি গ্রাউন্ডে খেলা হয়েছে। দু’দলের মোট স্কোর চারশ’র কাছাকাছি। হারজিত কে সরিয়ে রেখে দু’দলের মধ্যে জমজমাট ক্রিকেট ম্যাচের মধ্য দিয়ে সম্প্রীতির বাতাবরণ আরো দৃঢ় করার অভিপ্রায়ে দু’দলের উদ্দেশ্যই সার্থক বলা যায়। স্কোরকার্ডের হিসেব-নিকেশে জার্নালিস্ট রিক্রিয়েশন ক্লাব ৪০ রানের ব্যবধানে জয় পেয়েছে, ঠিকই। তবে এই জয়ের সুবাদে চলতি সিরিজ ১-১এ সমতায় ফিরে এসেছে। কেননা, গত ক’দিন আগে অপর একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে টিম ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক ৫ উইকেটে জয়ী হয়েছিল। উল্লেখ্য, আজ রবিবার, পুলিশ ট্রেনিং একাডেমি গ্রাউন্ডে সকাল সাড়ে দশটায় ম্যাচ শুরুতে টস জিতে টিম ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের অধিনায়ক শুভ্রদীপ ভৌমিক প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে  জে.আর.সি-কে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়। সীমিত কুড়ি ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে জে.আর.সি ২১৩ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে মনোজিৎ দাসের অনবদ্য অপরাজিত ১৩৭ রান এবং প্রসেনজিৎ সাহার অপরাজিত ২০ রান উল্লেখযোগ্য। মাঝে দলীয় ১০১ রানের মাথায় সুব্রত দেবনাথ প্যাভিলিয়নে ফেরেন ব্যক্তিগত ৩৩ রান করে। ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের বোলার সুমন চৌহান একমাত্র উইকেটটি পেয়েছে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে গ্রামীণ ব্যাংক সীমিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। দলের পক্ষে সুপ্রভ ভৌমিক যথেষ্ট চেষ্টা করে ৭৯ রান সংগ্রহ করে দলকে অনেকটা এগিয়ে আনলেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি। ওপেনার রুদ্র প্রতাপ দত্ত পেয়েছে ৩০ রান। জে.আর.সি-র অধিনায়ক অভিষেক দে একাই চারটি উইকেট তুলে নেন ২০ রানের বিনিময়ে। এছাড়া, অনির্বাণ দেব তিনটি, জাকির হোসেন ২টি এবং মনোজিৎ দাস একটি উইকেট পেয়েছেন। মেঘধন দেব, বিশ্বজিৎ দেবনাথ, তাপস দেব, দিব্যেন্দু দে ও আয়ুষ পাল জে.আর.সি-র হয়ে দারুন খেলেছেন। ম্যাচের সেরা মনোজিৎ দাসকে প্রাইজমানি প্রদান করা হয়েছে। খেলা শেষে ক্লাব হাউজে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে মনোজিতের হাতে প্রাইজমানি তুলে দেন এয়ারপোর্ট পিএস-এর ওসি রানা চ্যাটার্জি এবং সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক সুপ্রভাত দেবনাথ। এদিকে, খেলা শুরুর প্রাকমুহুর্তে জে.আর.সি পরিবারের অন্যতম সদস্য বাপন দাসের প্রয়াত পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং প্রত্যেকে কালো ব্যাজ ধারণ করেন।আজকের ম্যাচ এবং এই জয় দুটোই উৎসর্গ করা হয়েছে ক্লাবের নির্ভরযোগ্য খেলোয়ার তথা অন্যতম সদস্য বাপন দাসের প্রয়াত পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে। বলাবাহুল্য, ম্যাচ  ব্যবস্থাপনায় ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের জয়েন্ট সেক্রেটারি কিশোর কুমার দাস সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন। আম্পায়ার ও স্কোরার ছিলেন অর্জুন দেববর্মা, ত্রিদীপ চক্রবর্তী ও যীশু দাস। জে.আর.সি- পক্ষ থেকে সচিব অভিষেক দে এবং টিম ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজার তড়িৎ লাল চক্রবর্তী প্রমূখ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *