বিষাক্ত মাশরুম খেয়ে অসমে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, ডিমা হাসাওয়ে মৃত্যু আরও একজনের

হাফলং (অসম), ১৯ এপ্রিল (হি.স.) : ডিমা হাসাও জেলার উমরাংসোতে বিষাক্ত মাশরুম খেয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই। আজ মঙ্গলবার সকালে হাফলং সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু ঘটেছে। তিনি মহিলা সুজাতা তামাং (৩২), উমরাংসো আট কিলো এলাকার বাসিন্দা। প্ৰসঙ্গত বিষাক্ত মাশরুম খেয়ে গত এক সপ্তাহের মধ্যে এ পর্যন্ত অসমে মোট ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল উমরাংসোর এক এবং এর আগে গত ১২ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উজান অসমের চড়াইদেও, ডিব্ৰুগড়, শিবসাগর ও তিনসুকিয়ার মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল বিষাক্ত মাশরুম খেয়ে।

গত ১৩ এপ্রিল উমরাংসোর আট কিলো এলাকার কয়েকজন জঙ্গল থেকে কুড়ে আনা মাশরুম রান্না করে খেয়েছিলেন। এর পর নয় (৯) জনের শরীরে দেখা দেয় বিষক্রিয়া হয়। তাঁরা দাস্ত, বমি, পেটের ব্যথা, সঙ্গে শরীর-জ্বালাতনে আক্রান্ত হলে নয় রোগীকে প্রথমে উমরাংসো হাসপাতালে ভরতি করা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় এদের চিকিৎসা উমরাংসো হাসপাতালে চলে। কিন্তু তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গত রবিবার বিকেলের দিকে তাদের হাফলং সিভিল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

কিন্তু হাফলং সিভিল হাসপাতালে নিয়ে আসার পর এদিনই সন্ধ্যার দিকে মানিক কুর্মি (৫০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে। এর মধ্যে ডাক্তারদের সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে আজ সকালে সুজাতা তামাং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। হাফলং হাসপাতাল এখনও যারা চিকিৎসাধীন তারা যথাক্রমে প্রেম বাহাদুর (৬০), প্রেমলাল কুর্মি (২৪), সুরজ তামাং (৩৬), সুরৌ লামা (২২), মায়া লামা (৪৫), রাধা কুর্মি (৫০) এবং ডিম্পি কুর্মি (২২)।

উল্লেখ্য, ডিমা হাসাও জেলায় বিষাক্ত মাশরুম খেয়ে প্রায় প্রতিবছরই এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এবারের ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে ডিমাহাসাও জেলার শিল্পনগরী উমরাংসোর আট কিলোতে। জঙ্গলে যে সব মাশরুম হয়, সেগুলি প্রায় বিষাক্ত থাকে। তাই খাদ্যোপযোগী বলে মাশরুম শনাক্ত না করার ফলে এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই সংঘটিত হয় এই পাহাড়ি জেলায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *