দেওঘর, ১১ এপ্রিল (হি.স.): ঝাড়খণ্ডের পবিত্র শহর দেওঘরে ত্রিকূট পাহাড়ে রোপওয়ে ভেঙে প্রাণ হারালেন দুই মহিলা। গুরুতর জখম হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। আহতদের মধ্যে মহিলা এবং শিশুও রয়েছে। রবিবার বিকেলে আচমকাই ভেঙে পড়ে রোপওয়েটি, তার পর থেকে সোমবার বেলা পর্যন্ত ৪৮ জন ওই রোপওয়েতে ঝুলতে থাকেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ডাকা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও। পাশাপাশি নামানো হয়েছে সেনা এবং আধাসেনাকেও। উদ্ধারকাজে নেমেছে বায়ুসেনার দু’টি এমআই-১৭ কপ্টার।
দেওঘরে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে যাওয়ার জন্য ওই রোপওয়ে ব্যবহার করা হয়। পর্যটকদের কাছে এই রোপওয়ে যাত্রা বেশ জনপ্রিয়ও। রবিবার বিকেল ৪.৩০ মিনিট নাগাদ ত্রিকূট পাহাড়ের ওই রোপওয়ে আচমকাই ভেঙে পড়ে। ডাউন স্টেশন থেকে রোপওয়ে শুরু হতে না হতেই পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত রোপওয়ের ইউটিপি স্টেশনের রোলারটি হঠাৎ ভেঙে যায়। এরপর রোপওয়ের ২৩টি ট্রলি নিমেষে সাত ফুট নিচে ঝুলে পড়ে। প্রথমেই ৪০ ফুট উপরে থাকা একটি ট্রলি খাদে পড়ে যায়, যাতে পাঁচজন আরোহী ছিলেন। স্থানীয় লোকজন ও রোপওয়ে শ্রমিকরা মিলে ওই ট্রলিতে আটকে পড়া পাঁচজনকে উদ্ধার করেন। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দু’জনের এবং ট্রলিতে আটকে পড়েন মোট ৪৮ জন পর্যটক। তাঁরা রাতভর ওই রোপওয়েতে ঝুলতে থাকেন। উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে বায়ুসেনার কপ্টার। সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, একজনের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রোপওয়ে ভেঙে পড়ার ফলে নীচের দু’টি ট্রলি পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খায়। দুই ট্রলির আরোহী সবাই গুরুতর আহত হন। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সুমন্তী দেবী নামে এক মহিলার। ট্রলির ভেতরে আটকে পড়া সবাই আহত হয়েছেন। আহতদের অধিকাংশই বিহারের বাসিন্দা। আহতরা হলেন-গোবিন্দ ভোক্তা, ভূপেন্দ্র বর্মন, দীপিকা বর্মন, অজ্ঞাত এক বছরের শিশু, রূপা কুমারী, সোনি দেবী, রমন কুমার শ্রীবাস্তব, সুধা রানী ও খুশবু রানী।