আগরতলা, ৪ এপ্রিল (হি. স.) : ত্রিপুরায় বিজেপিই একমাত্র রাজনৈতিক শত্রু। অন্য কোন দলের সাথে শত্রুতা নেই। তাই বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলকে একজোট হওয়ার জন্য আবারও বার্তা দিলেন কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মণ। তাঁর দাবি, বিজেপির শাসনে দেশ মুঘল কিংবা ব্রিটিশদের শাসনকাল থেকেও ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। বিলোনিয়ায় দাঁড়িয়ে এভাবেই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং প্রতিহত করার জন্য কংগ্রেস কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করলেন তিনি। এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিনহা দাবি করেন, দেশ বাঁচাতে বিকল্প শক্তি একমাত্র কংগ্রেস।
বিজেপির সাথে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সুদীপ রায় বর্মণ। তাঁর সাথে ছিলেন আশীষ কুমার সাহাও। দুজনেই পুরনো দল কংগ্রেসে ফিরে গেছেন। এরপর থেকেই সুদীপবাবু বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমন আরও তেজি করেছেন। আজ বিলোনিয়ায় যোগদান সভায় দাঁড়িয়ে সেই ঝাঁজ আরও বাড়ালেন।
এদিন তিনি বলেন, দেশ মুঘল কিংবা ব্রিটিশদের শাসন দেখেছে। ব্রিটিশদের ২০০ বছরের রাজত্ব দেশবাসী ভুগেছেন। কিন্ত, আজ বিজেপির শাসন মুঘল এবং ব্রিটিশদের শাসনকেও হার মানিয়েছে। আজকের দিনে দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতি মুঘল কিংবা ব্রিটিশ শাসনেও দেখা যায়নি। তাঁর কথায়, আমাদের কাছে বিজেপি একমাত্র রাজনৈতিক শত্রু। তাই, বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দল একজোট হন। তিনি বলেন, বাইক এবং হেলমেট বাহিনীকে শুধু চিনে রাখুন। সময় হলে জনগণই সমস্ত অপশাসনের জবাব দেবেন।
আজ তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, ত্রিপুরার পরিস্থিতি উত্তর প্রদেশ এবং বিহার থেকে ভিন্ন। তাই, উত্তর প্রদেশে ভোটের ফলাফলে ঘাবড়ানোর প্রয়োজন নেই। তাঁর সাফ কথা, কংগ্রেসকে শক্তিশালী করতে মনোযোগ দিন। মানুষের কাছে ছুটে যান, তাঁদের সমস্যাকে বোঝার চেষ্টা করুন। সদস্যপদ সংগ্রহে জোর দিন। তবেই, বিজেপিকে মোক্ষম জবাব দেওয়া সম্ভব হবে। তিনি জোর গলায় বলেন, আগামী ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পরাস্ত হবেই। মানুষই সেই পথ প্রশস্ত করবেন।
এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিনহা বলেন, ত্রিপুরার মানুষের দুঃখ দুর্দশা বিজেপির শাসনে বেড়েই চলেছে। দেশেও একই হাল হয়েছে। তাই, কংগ্রেসকে শক্তিশালী করতে হবে। তাঁর দাবি, দেশ বাঁচাতে একমাত্র বিকল্প শক্তি কংগ্রেস।