ইসলামাবাদ, ৩০ মার্চ (হি.স.) : পার্লামেন্টে অনাস্থা নিয়ে ভোটাভুটি হওয়ার আগেই ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে পারেন। পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহলে এমনটাই গুঞ্জন। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকায়, সেই জল্পনা আরও জোরালো হয়। যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী এদিন জানান, ইমরান খানের ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। শেষ বল পর্যন্ত তিনি খেলা চালিয়ে যাবেন।
খেলার মাঠে ক্যাপ্টেন ইমরান খানের লড়াই কারও অজানা নয়। বরাবর সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন। অনেকে কঠিন পরিস্থিতি খাদের কিনারা থেকে পাকিস্তান দলকে টেনে তুলেছেন। নিজে পারফর্ম করে, সতীর্থদের থেকে সেরাটা সবসময় বের করে এনেছেন অধিনায়ক ইমরান।‘নয়া পাকিস্তান’-এর ডাক দিয়ে ক্ষমতায় আসা ইমরানের পিটিআই-জোট নানা ইস্যুতে ক্রমশ কোণঠাসা হতে থাকে। পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তোলে অতিমারি। পাকিস্তানের অর্থনীতি ভেঙে পড়ে। তাঁর আমলে বিদেশনীতিও প্রশ্নের মুখে পড়ে। এই অবস্থায় সরকার ফেলতে সক্রিয় হয় বিরোধীরা।
বিরোধীরা জোটবদ্ধ ভাবে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। ২ বা ৩ এপ্রিল পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ভোটাভুটি। তার আগে ইমরানের অন্যতম জোটসঙ্গী বিরোধীদের সঙ্গে হাত মেলানোয়, অনাস্থায় পরাজয় একরকম নিশ্চিত হয়ে যায়।