আগরতলা, ২৩ মার্চ (হি. স.) : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মজবুত নেতৃত্ব এবং মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের দক্ষ প্রশাসন পরিচালনায় ত্রিপুরার মানুষ আবারও বিজেপি-তেই আস্থা রাখবেন। তাই, উপ-নির্বাচন এবং ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় নিশ্চিত। ত্রিপুরা সফরে এসে সাংগঠনিক সভা শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে দৃঢ়তার সাথে একথা জানান বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদিকা ডি. পুরন্দেশ্বরী। তাঁর কথায়, অধিকার প্রতিষ্ঠায় নয়, মানুষের সেবার জন্যই বিজেপি পুণরায় ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসতে চায়।
এদিন তিনি বলেন, ২৫ বছরের বাম আমলে ত্রিপুরার মানুষ যা স্বপ্নেও ভাবেননি, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সেই অসাধ্য কাজ করে দেখিয়েছেন। ত্রিপুরার আনারস, কাঠাল, লেবু বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। তাতে, কৃষকরা উপকৃত হচ্ছেন। সাথে তিনি যোগ করেন, ন্যুনতম সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় বিজেপি সরকারই সম্ভব করেছে। ফলে, কৃষি প্রধান রাজ্য ত্রিপুরায় কৃষকরা আর্থিক দিক লাভবান হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, কিষান সন্মান নিধির মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন কৃষকরা।
তাঁর দাবি, বিজেপির সারা দেশে একটাই মন্ত্র, সব-কা সাথ, সব-কা বিকাশ। তাই, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার গরীব ও মধ্যমবর্গের বিকাশে কাজ করে চলেছে। তাই, পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফলে চারটি রাজ্যেই জনগণ বিজেপির প্রতি আস্থা রেখেছেন। তিনি বলেন, কঠিন সময় সাহসিকতার সাথে মোকাবিলা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই, করোনা সংকট মোকাবিলায় ভারত অন্যান্য দেশের তুলনায় দক্ষতার ছাপ রেখেছে। শুধু তাই নয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের ভূমিকা সারা বিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছে। কারণ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদেশের ছাত্রছাত্রীদের ইউক্রেন ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এদিন তিনি বলেন, ত্রিপুরায়ও গত চার বছরে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। পরিকাঠামো উন্নয়নের সাথে আগামী দিনে বিকাশের অগণিত সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক যুগের সূচনা হয়েছে। কারণ, হার্ট এবং নিউরো সার্জারী এখন ত্রিপুরায় অনায়াসে হচ্ছে। তাঁর বিশ্বাস, নির্বাচনে ত্রিপুরা মানুষ তুলনাত্মক বিশ্লেষণ নিশ্চয়ই করবেন এবং বিজেপির প্রতিই আস্থা রাখবেন। তাঁর কথায়, অধিকার প্রতিষ্ঠায় নয়, মানুষের সেবার জন্যই বিজেপি পুণরায় ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসতে চায়।

