মাজবাট (অসম), ১৬ মার্চ (হি.স.) : গতকাল মঙ্গলবার রাতে অসমে দু-দুটি এনকাউন্টারের ঘটনায় দুই অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে। আসাম পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে গুয়াহাটির গাড়িগাঁও দলবদ্ধ নাবালিকা ধর্ষণ মামলার প্রধান অভিযুক্ত বিকি আলি। পাশাপাশি ওদালগুড়ি জেলার লালপানি এবং মাজবাট পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত রাজেশ মুণ্ডার।
গত ১১ মাৰ্চ জেলার ধনশ্ৰী চা বাগানের শ্মশানে উদ্ধার হয়েছিল ৭ বছর বয়সের এক শিশুর মৃতদেহ। ১০ মাৰ্চ এক বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হয়ে পড়েছিল শিশুটি। পুলিশি তদন্তে শনাক্ত হয়েছিল ধৰ্ষণকারী রাজেশ মুণ্ডা নামের এক ব্যক্তি। এদিকে ঘটনার পর থেকে রাজেশ মুণ্ডাও পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল।
গতকাল মঙ্গলবার চাংসারির একটি লোহা ফ্যাক্টরি থেকে পুলিশ রাজেশকে গ্ৰেফতার করেছিল। ধর্ষণস্থল এবং কীভাবে শিশুটিকে বিয়েবাড়ি থেকে সে নিয়েছিল, সে সব প্রদর্শনের জন্য গতকাল রাতে তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল দুই থানা যথাক্রমে লালপানি এবং মাজবাট পুলিশের দল। কিন্তু মাঝপথে পুলিশের গাড়ি থেকে ঝাঁপ মেরে পালানোর চেষ্টা করে রাজেশ মুণ্ডা। তখন তাকে আটকাতে পুলিশ এনকাউন্টার করে। এত গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করে শিশুর ধৰ্ষণকারী রাজেশ মুণ্ডা।