আগরতলা, ১৫ মার্চ (হি. স.) : কংগ্রেসের যোগদান সভায় হামলার ঘটনায় পাল্টা হামলায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারী প্রচন্ড গন্ডগোল হয়েছিল। রাজধানী আগরতলা রণক্ষেত্রের রূপ নিয়েছিল। ওইদিন বিজেপি মন্ডল অফিসে ভাঙচুর এবং সন্ধ্যায় যুব মোর্চার মিছিলে হামলার অভিযোগে মামলায় ধৃত ৭ কংগ্রেস নেতা-কর্মী আজ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
এ-বিষয়ে কংগ্রেসের আইনজীবি হরেকৃষ্ণ ভৌমিক বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারী কামারপুকুরে কংগ্রেসের যোগদান সভায় হামলা ঘিরে পাল্টা হামলায় একাধিক মামলা হয়েছিল। পুলিশ, কংগ্রেস এবং বিজেপি পৃথক তিনটি মামলা করেছিল। কিন্ত, শুধু বিজেপির দায়ের করা মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
তিনি বলেন, শিবনগরে বিজেপি মন্ডল অফিসে হামলার অভিযোগে শাহাজান ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল বিজেপি। তেমনি, ওইদিন সন্ধ্যায় পোস্ট অফিস চৌমুহনীতে কংগ্রেস ভবন থেকে বিজেপি যুব মোর্চার উপর হামলা এবং পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের অভিযোগ এনে পশ্চিম থানায় ৭ জন কংগ্রেস নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস এবং পুলিশের তরফেও মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্ত, একজনকেও ওই মামলায় গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
তিনি জানান, বিজেপির দায়ের করা মামলায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারী পুলিশ রাধেশ্যাম সাহা, সম্রাট রায়, তীর্থ সাহা, রজত সাহা, মিঠুন দাস, শাহাজান ইসলাম, অর্নিকা সাহা এবং মালবিকা পোদ্দারকে গ্রেফতার করেছিল। আদালত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করার বদলে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছিল। গতকাল পশ্চিম জেলা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদনের উপর পুনরায় শুনানি হয়েছিল। আদালত ৭ জনের জামিন মঞ্জুর করেছে।তিনি বলেন, শাহাজান ইসলামের বিরুদ্ধে পূর্ব ও পশ্চিম আগরতলা থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে। পশ্চিম আগরতলা থানায় মামলায় জামিন মঞ্জুর হলেও, পূর্ব আগরতলা থানায় দায়ের মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেনি আদালত। তাই, তিনি এখনই জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না, বলেন হরেকৃষ্ণ ভৌমিক।