বিমানবন্দর : এমবিবি বিমান বন্দরে অটো চালকদের দৌরাত্ম বৃদ্ধি, ক্ষোভ

আগরতলা, ১০ মার্চ : আগরতলা বীর বিক্রম মেমোরিয়াল বিমানবন্দর থেকে সড়ক পথে যাতায়াতের জন্য যাত্রীদের দুর্ভোগ নিত্যদিনের বিষয় হয়ে উঠেছে।  মুনাফালোভী মানসিকতা যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। অটোচালকদের দৌরাত্ম্য মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। অটো যাত্রীরা বিমান যাত্রীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত নানা ভাবে হেনস্তা করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

একদিকে বিমানবন্দরের ভিতরে অটোস্ট্যান্ড নেই, অন্যদিকে অনলাইনে অটো বুকিং করে বিমানবন্দর থেকে যাতায়াত করার চেষ্টা করলে একাংশের অটো চালকরা তাতে বাধা দিচ্ছে। অধিক ভাড়ায় তাদের অটোতে যাতায়াত করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এনিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে।

বৃহস্পতিবার সকালে এ ধরনের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো লঙ্কাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, মেলাঘর এলাকার এক যুবতী কলকাতা থেকে বিমানে এসে অনলাইনে   একটি অটো বুকিং করেন। যথারীতি অটো বিমান বন্দরে আসেন। বিমান যাত্রী ওই যুবতী অনলাইনে বুকিং করা অটো করে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিপত্তি দেখা দেয়। অন্যান্য অটো চালকরা আটকে রাখে এবং এই অটো দিয়ে  যেতে দেওয়া হবে না বলে হুলিয়া জারি করেন।

এ নিয়ে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়। অটো চালকরা সেই অটোর চাবি ছিনিয়ে নিয়ে যান। রীতিমতো হেনস্থার শিকার হন যুবতীটি। তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ইতিপূর্বে তার সঙ্গে এ ধরনের আচরণ হয়েছে। এ যাত্রায় অবশ্য অতীতের সমস্ত ঘটনার রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। বিষয়টি তিনি ফেইসবুক থেকে লাইভ করতে শুরু করেন। এমনকি অটোটি আটকে রাখার ফলে তার লাগেজসহ সবকিছুই অটোতে ফেলে সেখান থেকে চলে আসেন।

বিষয়টি ফেসবুক লাইভে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি। তার লাগেজ এবং অন্যান্য জিনিসপত্র হারানো গেলে যারা এসব ঘটনায় যুক্ত তাদেরকেই দায়ী থাকতে হবে বলে কড়া বার্তা দেন।

উল্লেখ্য, নতুন পরিসরে আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দর চালু হওয়ার পর থেকেই এ ধরনের অভব্য আচরণ এবং হয়রানির ঘটনা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ ধরনের কার্যকলাপ অব্যাহত থাকলে বহি:রাজ্য থেকে আগত যাত্রী এবং পর্যটকদের মধ্যে রাজ্যের সন্মান ধুলোয় লুটাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এসব বিষয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্য প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *