কলকাতা, ২৮ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : রাজ্যের ১০৮ পুরসভার ভোটে ব্যাপক হিংসার অভিযোগ তুলে সোমবার ১২ ঘণ্টার বন্ধ কর্মসূচিতে নেমেছে বঙ্গ বিজেপি। সপ্তাহের প্রথম দিন বন্ধের জেরে সমস্যায় নিত্যযাত্রীরা। সকাল থেকে বর্ধমান, হুগলিতে রেল অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। তাতে আটকে পড়ে বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন। গন্তব্যে পৌঁছতে ব্যাপক অসুবিধার মধ্যে পড়েন নিত্যযাত্রীরা।
সকাল থেকেই কর্মসূচি সফল করতে অতিসক্রিয়তা দেখা গেল কিছু বিজেপি নেতা, কর্মীর মধ্যে। সাতসকালেই বালুরঘাট শহরে বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। পুলিশ মিছিল আটকানোর চেষ্টা করলে পরিস্থিতি সামান্য উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এছাড়া হুগলি, বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। সকাল থেকে অবশ্য বিজেপির বন্ধ ব্যর্থ করে সমস্ত পরিষেবা সচল রাখতে পালটা তৎপর প্রশাসনও। সরকারি বাস চলছে বেশি সংখ্যায়। হাওড়া, শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন চলাচলও স্বাভাবিক।
হাওড়ার শানপুর মোড়ে বিজেপির অবরোধ দমনে সোমবার পুলিশ কড়া পদক্ষেপ নেয়। মিছিল থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। নন্দীগ্রামেও বন্ধের ভাল প্রভাব পড়েছে। বন্ধ নন্দীগ্রাম-চণ্ডীপুর বাস চলাচল। এলাকায় চলছে না অটো, টোটোও। যদিও পরিবহণ সচল রাখতে আগেই পরিকল্পনা ছকেছিল প্রশাসন। সেইমতো যানবাহন চালাতে তৎপরতা রয়েছে পরিবহণ বিভাগের তরফেও। বিজেপির ডাকা বন্ধের প্রভাব পড়ে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের এলাকা বালুরঘাট ছাড়াও কোচবিহার জেলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছড়ায় সকাল থেকে। সেখানে সরকারি বাস আটকানোর চেষ্টা করেন বন্ধ সমর্থনকারীরা। তাতে পুলিশ বাধা দিলে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়। তবে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে বাস চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সচেষ্ট হয় পুলিশ।
বালুরঘাট শহরে বিজেপির মিছিল থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক, লাঠিচার্জ করা হয় বলে খবর। তার প্রতিবাদে রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভ করেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ দলদাসের মতো কাজ করছে। বিরোধীদের যে কোনও কর্মসূচিতেই বাধা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের নেতৃত্বে হিলকার্ট রোডে বিজেপি মিছিলে শামিল হয়। অভিযোগ, এই মিছিল থেকে জোর করে খোলা দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়।