CM helpline 1905 : ত্রিপুরায় জনগণের সমস্যা লাঘব করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার, ১৯০৫ হেল্পলাইনে অভিযোগের ৮০ শতাংশ নিষ্পত্তি : মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ৯ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : নাগরিকদের বিভিন্ন সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করছে রাজ্য সরকার। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী হেল্পলাইন নম্বর ১৯০৫। ওই হেল্পলাইনের মাধ্যমে ৮০ শতাংশ নথিভুক্ত অভিযুক্তের নিস্পত্তি করা হয়েছে। আজ ইন্দ্রনগর আইটি ভবনে মুখ্যমন্ত্রী হেল্পলাইন- ১৯০৫ ও ইআরএসএস পরিষেবার সাথে যুক্ত কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তার আগে পরিষেবা প্রদানকারী বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেন এবং পরিষেবা প্রদান পদ্ধতি সম্পর্কে খোঁজ নেন। পরিদর্শনকালে মুখ্যমন্ত্রী হেল্পলাইন থেকে পরিষেবা গ্রহণকারীদের কয়েকজনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তাদের সমস্যা সম্পর্কে অবহিত হন মুখ্যমন্ত্রী।


পরিদর্শন শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের বিভিন্ন সমস্যা থাকে। এগুলি লাঘব করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এরমধ্যে অন্যতম মুখ্যমন্ত্রী হেল্পলাইন নম্বর ও ইআরএসএস পরিষেবা। ইতিমধ্যেই নথিভুক্ত অভিযোগের ৮০ শতাংশের বেশি নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়েছে। এই পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৪১ জন তাদের অভিযোগগুলি হেল্পলাইনের মাধ্যমে নথিভুক্ত করেন। পরে অভিযোগগুলি পৃথকীকরণের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রেরণ করেন। অভিযোগকারী ব্যক্তি নথিভুক্ত বিষয়টির সমাধান সম্পর্কে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট হলেই অভিযোগের নিষ্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। এরফলে ঘরে বসেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সহজে অভিযোগ গ্রহণের পাশাপাশি তার সমাধান করা সম্ভবপর হচ্ছে।


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই পরিষেবার সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছেন তারা মানুষের অভিযোগগুলি কতটা বিনয় ও আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করছেন এবং বাস্তবিক অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের লক্ষ্যেই আজ পরিদর্শন। তার পাশাপাশি কোন ধরনের অভিযোগ বেশি আসে এবং কোন দপ্তর অভিযোগ নিষ্পত্তিতে দ্রুততার সাথে কাজ করছে সেটাও পর্যবেক্ষণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময়ের সময় যারা ফোন করবেন তাদের বিষয়গুলিকে গুরুত্ব সহ শোনা, বিনয় পূর্বক ব্যবহার ও কিভাবে দ্রুততার সঙ্গে সেই সমস্যার সমাধানে ভূমিকা নেওয়া যায় সেই লক্ষ্যে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।


মহিলা সংক্রান্ত অপরাধ, অবৈধ নেশা, ব্যাঙ্কিং পরিষেবা, কৃষক কল্যাণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে জড়িত বিষয়গুলির প্রতি আরও বেশি যত্নবান হতে ও গুরুত্বের ভিত্তিতে কাজ করার পরামর্শ দেন। তার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকার ঠিক কি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করছে সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেও মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেন। পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মী ও আধিকারিকগণ মুখ্যমন্ত্রীকে অবগত করেন, এভাবে পরিষেবা গ্রহণকারীদের সংখ্যা উত্তরোত্তর যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি সমস্যার নির্মূলীকরণেও সাফল্য আসছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *