লাগাতার বিক্ষোভের মুখে অটোয়ায় জারি হল জরুরি অবস্থা

অটোয়া, ৭ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): করোনা ভাইরাস বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ট্রাকচালকদের বিক্ষোভের মুখে কানাডার রাজধানী অটোয়ায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বিক্ষোভের কারণে শহরবাসীর নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকার প্রেক্ষাপটেই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শহরটির মেয়র জিম ওয়াটসন । এমনটাই জানিয়েছে অন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাকচালকেরা অটোয়ার রাস্তাঘাট অচল করে দিয়েছেন। তারা ট্রাক দিয়ে তাবু খাটিয়ে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন। ‘ফ্রিডম কনভয়’ নামে এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল ট্রাকচালকদের জন্য কোভিডের টিকা বাধ্যতামূলক করা ও দেশটির সরকারের নেওয়া বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে।

জিম ওয়াটসন বলেন, দিনের পর দিন পুলিশের চেয়ে বিক্ষোভকারীর সংখ্যা ছাড়িয়ে যাওয়ায় শহরটি ‘পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ চলে গেছে। তাই চলমান বিক্ষোভ শহরের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কানাডার রেডিও স্টেশন সিএফআরএ-তে জিম ওয়াটসন বলেন, বিক্ষোভকারীরা শহরের মধ্যে হর্ন ও সাইরেন বাজিয়ে, বিভিন্ন জায়গায় আতশবাজি পুড়িয়ে রীতিমত উৎসবে পরিণত করে ক্রমাগত ‘অসহিষ্ণু আচরণ’ করছেন।

তিনি বলেন, এটা পরিষ্কার যে আমরা সংখ্যায় কমে গেছি, আমরা হেরে যাচ্ছি। কিন্তু এ অবস্থা বদলাতে হবে, আমাদের শহর ফিরে পেতে হবে আমাদের। যদিও সেজন্য পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত বলেননি মেয়র।

রবিবার পুলিশ বলেছে, তারা কঠোর হবে। এর মধ্যে বিক্ষোভকারীদের যারা সাহায্য করতে আসবে তাদের গ্রেফতার করার মত পদক্ষেপও নিতে পারে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, কানাডা সীমান্তের এপারে-ওপারে চলাচল করেন প্রায় ১.২০ লক্ষ ট্রাকচালক। তাদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়েছেন। কানাডার প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও টিকা নেওয়ার হার এরকমই। তবে কানাডা সরকারের একটি সিদ্ধান্ত ট্রাকচালকদের ক্ষুব্ধ করে। ট্রাকচালকদের মধ্যে যারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্থল সীমান্ত পেরিয়ে কানাডায় ঢুকছে, তাদের জন্য কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়। ট্রাকচালকরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায়।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, বিদেশি ট্রাকচালকদের তাদের দেশে ঢুকতে হলে করোনার টিকা নেওয়ার প্রমাণ দেখাতে হবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *