নয়াদিল্লি, ২১ জানুয়ারি (হি.স.): ভারতের অর্থনীতিতে পর্যটনের বিরাট অবদান রয়েছে, দেশের প্রতিটি রাজ্য ও প্রতিটি অঞ্চলে এমন অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমান সময়ে পর্যটন বাড়াতে চারটি বিষয় অত্যন্ত জরুরি। এই চারটি বিষয় হল-পরিচ্ছন্নতা, সুবিধা, সময় ও চিন্তাধারা। পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে শুক্রবার গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরের কাছে নতুন সার্কিট হাউসের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বেলা এগারোটা নাগাদ দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে নতুন সার্কিট হাউসের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, “আমরা বিশ্বের বহু দেশের কথা শুনি, জানতে পারি সেই সমস্ত দেশের অর্থনীতিতে পর্যটনের অবদান কতটা বেশি। আমাদের তো প্রতিটি রাজ্যে, প্রতিটি অঞ্চলে এমন অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। যে সমস্ত ঐতিহ্যবাহী স্থান আগে অবহেলিত ছিল, সেগুলি এখন সকলের প্রচেষ্টায় বিকশিত করা হচ্ছে। বেসরকারি সেক্টরও সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছে। ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া এবং দেখো আপনা দেশ-এর মতো প্রচারাভিযানগুলি বর্তমানে দেশের গৌরবকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরছে, পর্যটনের প্রচার করছে।”
প্রধানমন্ত্ৰীর কথায়, “বর্তমান সময়ে পর্যটন বাড়াতে চারটি বিষয় জরুরি। প্রথমত পরিচ্ছন্নতা- আগে আমাদের পর্যটন স্থান, পবিত্র তীর্থস্থানগুলি অস্বাস্থ্যকর ছিল। স্বচ্ছ ভারত অভিযান এই চিত্র পাল্টে দিয়েছে। পর্যটন বাড়ানোর জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সুবিধা। তবে সুযোগ-সুবিধার পরিধি শুধুমাত্র পর্যটন স্থানে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। যাতায়াতের সুবিধা, ইন্টারনেট, সঠিক তথ্য, চিকিৎসা-সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এই লক্ষ্যে দেশেও চলছে সর্বাত্মক কাজ। পর্যটন বৃদ্ধির জন্য তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সময়। এখন টোয়েন্টি-টোয়েন্টির যুগ। মানুষ ন্যূনতম সময়ে সর্বোচ্চ স্থান কভার করতে চায়।” এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “পর্যটন বাড়াতে চতুর্থ এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আমাদের চিন্তাভাবনা। আমাদের চিন্তাভাবনা উদ্ভাবনী ও আধুনিক হওয়া প্রয়োজন। একইসঙ্গে আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্য নিয়ে আমরা কতটা গর্বিত, সেটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।” মোদী বলেছেন, “আমার ক্ষেত্রে ভোকাল ফর লোকালে পর্যটনই আসে। বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা করার আগে, আগে সিদ্ধান্ত নিন ভারতের ১৫-২০টি বিখ্যাত স্থানে যাবেন। দেশকে যদি সমৃদ্ধ করতে হয়, তাহলে এই পথেই চলতে হবে।”

