মালিগাঁও, ২১ জানুয়ারি : পরিবহণকারীদের পাশাপাশি স্থানীয় কৃষক ও উৎপাদকদের সাহায্যের উদ্দেশ্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে উত্তর পূর্বাঞ্চল থেকে এবং পর্যন্ত কিষান রেল ট্রেন চালানো অব্যাহত রাখা হয়েছে। এটি হলো উৎপাদন / উদ্বৃত্ত অঞ্চলগুলি থেকে ব্যবহার/ঘাটভি থাকা অঞ্চলগুলির পাশাপাশি নিকটবর্তী বাজারগুলিরতে ফলমূল ও শাক-সবজির মতো পচনশীল সামগ্রী আনা-নেওয়া করার দ্বারা কৃষকদের উপার্জন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারতীয় রেলওয়ের একটি পদক্ষেপ। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকেও আলু পরিবহণের জন্য পশ্চিমবঙ্গের ধুপগুড়ি থেকে ত্রিপুরার আগরতলা পর্যন্ত আনলোডিং/লোডিঙের স্টপেজ সহ কিষান রেল ট্রেন চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে ধুপগুড়ি থেকে তিনটি ট্রিপ চালানো হয়েছে এবং আরও তিনটি ট্রিপ ২৪, ২৭ ও ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ তারিখে চালানো হবে। কিষান রেলের আরেকটি পরিষেবা ফালাকাটা থেকে আগরতলা পর্যন্ত আলু পরিবহণের জন্য ২৪ ও ৩১ জানুয়ারি এবং ৭, ১৪, ২১ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ তারিখে চালানো হবে।
০০৫৬০ নং ধূপগুড়ি-আগরতলা কিষান রেল ট্রেনটি গ্রুপগুড়ি থেকে ১৬-৩০ ঘণ্টায় রওনা দিবে এবং তৃতীয় দিনে ০১-০০ ঘণ্টায় আগরতলা পৌঁছাবে। ট্রেনটি লোডিং/আনলোডিঙের জন্য ফালাকাটা, নিউ কোচবিহার, নিউ বঙাইগাঁও, গুয়াহাটি ও ভাঙ্গা স্টেশনে স্টপেজ দিবে। ০০৫৬১ নং ফালাকাটা-আগরতলা কিষান রেল ট্রেনটি ফালাকাটা থেকে ১৫-০০ ঘণ্টায় রওনা দিবে এবং দ্বিতীয় দিনে ১৭-০০ ঘণ্টায় আগরতলা পৌঁছাবে। ট্রেনটি লোডিং/আনলোডিঙের জন্য নিউ কোচবিহার, নিউ বঙাইগাঁও ও ভাঙ্গা স্টেশনে স্টপেজ দিবে। এখানে উল্লেখযোগ্য যে ফলমূল, শাক-সবজি ও কৃষিজাত সামগ্রীর মতো পচনশীল সামগ্রী খুব সহজেই কিষান রেলের মাধ্যমে পরিবহণ করা যেতে পারে। কিষান রেল পরিষেবার মাধ্যমে ফল ও শাক-সবজি পরবহণের ক্ষেত্রে পঞ্চাশ শতাংশ ভর্তুকির ব্যবস্থা রয়েছে, যা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প (এমওএফসিআই) মন্ত্রকের দ্বারা বহন করা হয়।
বর্তমানে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অধিক্ষেত্রের অধীনে “কিষান রেল”-এর দ্বারা আগরতলা, ডিমাপুর, চাংসারি, নিউ গুয়াহাটি, যোরহাট টাউন, আজারা, তিনসুকিয়ার মতো স্থানগুলিকে আওতাভুক্ত করা হয়েছে। কিষান রেল পরিষেবা সম্পর্কে অধিক তথ্যের জন্য, যে কেউ ডিভিশনাল স্তর অথবা মুখ্য কার্যালয় স্তরের সংশ্লিষ্ট কমার্শিয়াল বিভাগের আধিকারিকের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।

