আগরতলা, ২০ জানুয়ারি (হি. স.) : ত্রিপুরায় করোনার দৈনিক সংক্রমণে কিছুটা নিম্নমুখীর প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু-মিছিল ভীষণ চিন্তিত করেছে রাজ্যবাসীকে। আক্রান্তের মৃত্যু লাগাতার বেড়ে চলেছে। অবশ্য, সুস্থতাও গতি তীব্র করেছে। তবুও, সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
স্বাস্থ্য দফতরের মিডিয়া বুলেটিন অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরটি-পিসিআরে ৮৬৭ এবং রেপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে ৭,৮৪২ জনকে নিয়ে মোট ৮,৭০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে, আরটি-পিসিআরে ৯১ জন এবং রেপিড অ্যান্টিজেনে ১,০৯৪ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। সব মিলে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১,১৮৫ জনের শরীরে নতুন করে করোনা সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া গেছে। করোনার নমুনা পরীক্ষা সামান্য কম হওয়ায় দৈনিক সংক্রমণের হারও কমেছে, ১৩.৬১ শতাংশ। গতকাল ৮,৯০৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১,২৪২ জনের দেহে নতুন করে করোনা সংক্রমণের খোঁজ মিলেছিল এবং দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ১৩.৯৪ শতাংশ।
এদিকে, সুস্থতা কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০৯ জন করোনার সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তাতে বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৭,৬১৯ জন। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত ৯৫,৩৮৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৮৬,৮৪৯ জন সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়ে সুস্থ হয়েছেন। রাজ্যে বর্তমানে করোনা-আক্রান্তের হার বেড়ে হয়েছে ৪.১৮ শতাংশ। তেমনি, সুস্থতার হার কমে হয়েছে ৯১.১১ শতাংশ। এদিকে ০.৮৯ শতাংশ হয়েছে মৃত্যুর হার। গত ২৪ ঘণ্টায় সাত জনের মৃত্যু হওয়ায় এখন পর্যন্ত ত্রিপুরায় ৮৫২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য দফতরের মিডিয়া বুলেটিনে আরও জানা গেছে, পশ্চিম জেলা এখনও করোনা সংক্রমণে শীর্ষস্থান দখলে রেখেছে। শুধু তা-ই নয়, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া পাঁচটি জেলায় শতাধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে পশ্চিম জেলায় ৪৩৮ জন, উত্তর জেলায় ১০৭ জন, সিপাহিজলা জেলায় ৪১ জন, দক্ষিণ জেলায় ১৫০ জন, ধলাই জেলায় ১২৮ জন, উনকোটি জেলায় ১৩১ জন, খোয়াই জেলায় ৪৬ জন এবং গোমতি জেলায় ১৪৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

