কলকাতা, ৬ জানুয়ারি (হি. স.) : চিকিৎসক, নার্সের পর এবার করোনায় আক্রান্ত হলেন রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের দুই শীর্ষ অধিকর্তা। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী এবং শিক্ষা স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্যের কোভিড পরীক্ষার ফল পজিটিভ। স্বাস্থ্যভবনের আরও অন্তত ৫০ জন করোনায় আক্রান্ত বলেই খবর। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ডিরেক্টর সন্তোষ মোহনের শরীরেও করোনা সংক্রমণ। দিনকয়েক ধরে শরীর ভাল যাচ্ছিল না স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর। করোনার নানা উপসর্গ দেখে সন্দেহ হয়। তাই র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করিয়েছিলেন তিনি। যদিও সে পরীক্ষার ফল অনুযায়ী, করোনা সংক্রমিত নন তিনি। বুধবার রাতে আরটি পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট পান। তাতেই দেখা যায় রিপোর্ট সম্পূর্ণ বিপরীত। কারণ, আরটি পিসিআর টেস্ট অনুযায়ী তিনি করোনা আক্রান্ত। বর্তমানে বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন অজয়বাবু। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কোভিড আক্রান্ত হলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা। এর আগে গত বছর সস্ত্রীক স্বাস্থ্য অধিকর্তা করোনা আক্রান্ত হন। সেই সময় তাঁকে হাসপাতালে ভরতি হতে হয়েছিল।
স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ক্রমশ থাবা ক্রমশ চওড়া হচ্ছে করোনার। চিত্তরঞ্জন সেবাসদনে করোনার প্রকোপ। হস্টেল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার-সহ বেশ কয়েকজনের শরীরে করোনা সংক্রমণ। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা নেহাত কম নয়। জলপাইগুড়িতে চিকিৎসক এবং নার্সিং স্টাফ-সহ আক্রান্ত বেশ কয়েকজন। হুগলির পোলবা হাসপাতালের বিএমওএইচ করোনা আক্রান্ত। আসানসোল জেলা হাসপাতালেও হানা করোনার। বেসরকারি হাসপাতালেও কোভিড আক্রান্তের তালিকা বেশ লম্বা।ক্রমশ থাবা চওড়া হচ্ছে করোনার। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। স্বাভাবিকভাবেই ঊর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যজুড়ে জারি কড়া বিধিনিষেধ। তবে তারপরেও রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগের।

