মেরঠ, ২ জানুয়ারি (হি.স) : রবিবার মেরঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অঘোধনাথ মন্দিরে প্রার্থনা করেন। এরপর শহীদ স্মৃতিসৌধে পৌঁছে তিনি ১৮৫৭ সালের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপ্লবীদের প্রতি প্রণাম করেন। রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রধানমন্ত্রীকে অঘোধনাথ মন্দির কমপ্লেক্সে স্বাগত জানান।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মেরঠের সালওয়াতে মেজর ধ্যানচাঁদ স্পোর্টস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানে আসেন। আজ প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টারটি মেরঠ ক্যান্টের সেনা হেলিপ্যাডে নামে। সেখান থেকে সড়কপথে অঘোধনাথ মন্দিরে পৌঁছায় প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। সেখানে রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। অঘোনাথ মন্দিরে প্রার্থনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
একই সময় প্রধানমন্ত্রী১৮৫৭ সালের বিপ্লবে অঘোধনাথ মন্দিরের গুরুত্ব ও অবদান সম্পর্কে জানানো হয়। এখান থেকে প্রধানমন্ত্রী গাড়িতে করে ভৈনশালি ময়দানের পিছনে অবস্থিত রাজ্য স্বাধীনতা সংগ্রাম জাদুঘর কমপ্লেক্সে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিসৌধে পৌঁছান। সেখানে প্রধানমন্ত্রী অমর জওয়ান জ্যোতিতে ১৮৫৭ সালের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর স্বাধীনতা সংগ্রাম জাদুঘরও পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী এখানে সম্প্রতি করা ১৮৫৭ সালের বিপ্লবের গ্যালারিও পরিদর্শন করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী গাড়িতে করে সেনা হেলিপ্যাডে ফিরে আসেন এবং হেলিকপ্টারে করে সালাভা গ্রামের উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় পুরো সেনানিবাস এলাকায় নেয়া হয় নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এসপিজি এবং এনএসজি কমান্ডোর সঙ্গে ভারী পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। এ সময় পুরো ক্যান্টনমেন্ট এলাকার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনের আগেই মিরাটে পৌঁছে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এর পরে, মুখ্যমন্ত্রী অঘোধনাথ মন্দিরের ব্যবস্থার খতিয়ে দেখেন।

