নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ ডিসেম্বর৷৷ নেশা বিরোধী অভিযানের অঙ্গ হিসেবে প্রায় প্রতিদিনই ত্রিপুরার বিভিন্ন স্থানে নেশা সামগ্রী উদ্ধার এবং পাচারকারীদের গ্রেফতার অব্যাহত রয়েছে৷ তারই অঙ্গ হিসেবে উত্তর ত্রিপুরা জেলা পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিশাল সাফল্য পেয়েছে রাজ্য পুলিশ৷ একই দিনে জেলার দুটি স্থানে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা মূল্যের নেশা সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে৷
আজ সোমবার বেলা একটা নাগাদ নেশা সামগ্রী বোঝাই লরি পানিসাগরে আটক করেছে পুলিশ৷ কলকাতা থেকে আগরতলাগামী জেকে ০৩ এইচ ৮৭৭০ নম্বরের লরিটি শিবশক্তি ট্রান্সপোর্টের বিভিন্ন খুচরো সামগ্রীর সঙ্গে ৪,৬৫৫ বোতল বেআইনি কফ সিরাপ এবং ৩১,৮২৪টি নেশার ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ পানিসাগর পুলিশ গোপন খবরের ভিত্তিতে জাতীয় সড়কে ওৎ পেতে বসে ছিল৷ একসময় লরিটি আসলে তাকে আটকে তল্লাশি চালিয়ে নেশা সামগ্রী উদ্ধার করা হয়ছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত নেশা সামগ্রীর বাজারমূল্য প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা৷ ওই গাড়ির চালক আকিব আহমেদ ও সহচালক আমির আহমেদকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে৷
এদিকে, আজ বেলা দুটা নাগাদ চুড়াইবাড়ি থানার ওসি জয়ন্ত দাসের কাছে গোপন খবর ছিল, ফেন্সিডিল বোঝাই লরি ত্রিপুরায় প্রবেশ করবে৷ পুলিশের রুটিন তল্লাশিতে পুলিশ গাড়িটিকে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিতেই চালক গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়৷ সেলট্যাক্স কমপ্লেক্সের ভেতর থেকে গাড়িটি আটক করেছে পুলিশ৷ গাড়ির চালক সাবাজ আলিকে পুলিশ আটক করেছে৷ তিনি বিহারের গয়ার বাসিন্দা৷
পুলিশ এনএল ০১ এসি ৮৬৭৭ নম্বরের লরিটি থানায় নিয়ে তল্লাশি করতেই ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে আসে৷ গাড়িতে থাকা আড়াই হাজার কার্টুন ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ প্রতি কার্টুনে ১০০ বোতল করে ২৫ হাজার বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে৷ যার বাজারমূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী৷
এদিকে গাড়ির চালক জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ থেকে বিপুল পরিমাণের নেশার সিরাপগুলো বোঝাই করে আগরতলা নিয়ে যাবার উদ্দেশ্যে আসছিল৷ দুটি ক্ষেত্রেই চালকদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস অ্যাক্টে মামলা নিয়েছে পুলিশ৷

