ISRO scientists : উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আগামী দিনে মহাকাশ সেক্টরে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে : ইসরোর বিজ্ঞানী

আগরতলা, ২২ ডিসেম্বর(হি. স.) : উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আগামী দিনে মহাকাশ সেক্টরে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় এ-কথা বলেন ইসরোর বিজ্ঞানী ড: জয়ন্ত জোশী। তাঁর কথায়, মহাকাশ কার্যকলাপ কখনই কোনও নির্দিষ্ট রাজ্য বা সাধারণভাবে কোনও অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তবে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে এক্ষেত্রে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে, এমনটাই দেখতে পাচ্ছি। তাঁর মতে, এই অঞ্চলে যথেষ্ট সুযোগ উপলব্ধ রয়েছে।


তিনি বলেন, উত্তর-পূর্ব থেকে আসা শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপচারিতায় দেখেছি তাদের মহাকাশ শিল্প এবং তার ভবিষ্যত সম্পর্কিত প্রশ্ন খুবই উজ্জ্বল। তাঁর দাবি, যথেষ্ট সম্পদ থাকার কারণে পরিকাঠামো ইতিমধ্যে উপলব্ধ। এখন একমাত্র উপায় হল, সরকারের উচিত এগিয়ে আসা এবং সেই সম্পদগুলিকে সঠিক পথে ব্যবহার করা। সাথে তিনি যোগ করেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চল আগামী দিনে অবশ্যই মহাকাশ সেক্টরে নেতৃত্ব দেবে।


এদিন তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরো ইতিমধ্যেই সকলের দরজা খুলে দিয়েছে। এখন শুধু সরকারের হাতে নেই। মহাকাশে অনেক কিছু আমরা খুলে দিয়েছি। তাঁর দাবি, অতীতেও বিভিন্ন কার্যক্রম বা মিশনে ৮০-৯০ শতাংশ কাজ বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় সম্পন্ন করা হয়েছে। আমরা শুধুই প্রস্তুত করার নকশা তৈরী করে দিচ্ছি।
তাঁর কথায়, ইসরো একটি মিশন শুরু করে তার নির্ভরযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা করি এবং এটি বেসরকারি শিল্পকে দিয়ে দেই। যা এখন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে। তাই ছোট যান, ছোট রকেটের মতো জিনিস সাধারণ মানুষ তৈরি করছেন। এমনকি বেসরকারী সংস্থা স্যাটেলাইটও তৈরি করছে। তাঁর মতে, এই সেক্টরে বিশাল সুযোগ রয়েছে এবং মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।


তিনি বলেন, মহাকাশে ব্যবহৃত এই বিজ্ঞান ছাত্রছাত্রীদের অবশ্যই সেখানো উচিত। রকেট সায়েন্স বলে কিছু নেই। তাঁর বক্তব্য, দীপাবলীতে বাজি পুড়ানোর মতই রকেটে আগুন দেওয়া হয়। তখন ওই রকেট মহাকাশে উড়ে যেতে সক্ষম হয়। হিন্দুস্থান সমাচার\সন্দীপ