নয়াদিল্লি, ২০ ডিসেম্বর (হি.স) : মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি সপ্তাহেই লোকসভায় ওই নিয়ে বিল পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন বিরোধী দল ওই প্রস্তাবে আপত্তি জানায়। কয়েকজন সমাজকর্মীও মেয়েদের বিবাহের ন্যূনতম বয়স বৃদ্ধির বিরোধিতা করেন। এই পরিস্থিতিতে সম্ভবত কিছুটা পিছু হটতে চলেছে মোদী সরকার। মেয়েদের বিবাহের ন্যূনতম বয়সের বিলটি সাংসদদের কোনও প্যানেল যদি খতিয়ে দেখে তাহলে সরকার আপত্তি করবে না। সোমবার সরকারি সূত্র থেকে এখবর জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, কোনও সিলেক্ট কমিটি এই বিলের বিভিন্ন ধারা খতিয়ে দেখতে পারে। বিরোধী দলগুলোর মনোভাব বুঝে সংসদে বিলটি পেশ করা হবে।
কংগ্রেস, সিপিএম, সমাজবাদী পার্টি, এআইএমআইএম এবং আরও কয়েকটি দল বিলটির বিরোধিতা করেছে। সরকার চেয়েছিল, সংসদের চলতি অধিবেশনেই বিলটি পাশ করিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু এখন তা সম্ভব বলে মনে হচ্ছে না। শীতকালীন অধিবেশনের বাকি আছে আর মাত্র চারদিন। তার ওপরে রাজ্যসভার ১২ জন বিরোধী সাংসদদের ওপর থেকে অচলাবস্থা প্রত্যাহার এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনিকে বরখাস্তের দাবিতে অচল হয়ে আছে সংসদের দুই কক্ষ।
কংগ্রেসের বক্তব্য, নতুন বিলটি ‘সন্দেহজনক’। তাদের দাবি বিলটি কোনও স্ট্যান্ডিং কমিটি খতিয়ে দেখুক। সিপিএমের বক্তব্য, বিবাহের বয়স বাড়ানোর চেয়ে সরকার বরং মেয়েদের পুষ্টি ও শিক্ষার ওপরে জোর দিক। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, “কোনও মেয়ের বয়স ১৮ বছর হলে সে প্রাপ্তবয়স্ক হয়। বিবাহের ক্ষেত্রে যদি তাকে নাবালিকা বলে ধরা হয়, তবে সেই আইন স্ববিরোধী।”