আগরতলা, ১৭ ডিসেম্বর (হি. স.) : জল জীবন মিশন প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তর যে সমস্ত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সেগুলির অগ্রগতির বিষয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে পর্যালোচনা করেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা বিদ্যুৎমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মণ। আজ উপ-মুখ্যমন্ত্রীর অফিসকক্ষে অনুষ্ঠিত এই পর্যালোচনা সভায় পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। পর্যালোচনা সভায় গত ৭ ডিসেম্বর পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তর এবং বিদ্যুৎ দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেগুলির পর্যালোচনা করা হয়।
সভায় পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনীয়ার রাজীব দেববর্মা জানান, বর্তমানে ১৮১টি জল সরবরাহের প্রকল্প চালুর জন্য তৈরি। এছাড়া আরও ২৮৮টি জল সরবরাহের প্রকল্প চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পগুলির সঠিক বাস্তবায়নের জন্য বিদ্যুৎ দপ্তরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ১৬৭টি ট্রান্সফরমার বরাদ্দ করা হয়েছে এবং আরও ১৪টি ট্রান্সফরমার শীঘ্রই বরাদ্দ করা হবে।
তিনি জানান, জল জীবন মিশন প্রকল্পে ২০১৮ সালের মার্চের আগে রাজ্যে ৩ শতাংশ কভারেজ করা হয়েছিল। বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৮ শতাংশে পৌঁছেছে। এই প্রকল্পে আরও ২৯ হাজার নতুন পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরফলে পানীয় জলের সংযোগের কভারেজ ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে চিফ ইঞ্জিনীয়ার রাজীব দেববর্মা সভায় জানান।
সভায় ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের অধিকর্তা (টেকনিক্যাল) দেবাশিষ সরকার জানান, জল সরবরাহের প্রকল্পগুলি চালুর ক্ষেত্রে ১৮১টি ট্রান্সফরমার স্থাপন সহ বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ আগামী ২০২২ সালের জানুয়ারী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া দ্বিতীয় পর্যায়ে অতিরিক্ত আরও ২০০টি ট্রান্সফরমার স্থাপনের কাজ আগামী ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যে করা হবে।
পাশাপাশি পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের ৭২২টি স্মলবোর ডিপ টিউবওয়েল চালু করতে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজও চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে করা হবে। রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তর এবং বিদ্যুৎ দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে নেওয়া সেমস্ত কর্মসূচিগুলি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রূপায়ন করার উপর উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা বিদ্যুৎমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মণ এবং পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী পর্যালোচনা সভায় গুরুত্ব আরোপ করেন।