Narendra Modi: সরযূ নাহার জাতীয় প্রকল্পের উদ্বোধন, মোদী বললেন কৃষিক্ষেতে জল পৌঁছে দেওয়া সরকারের অগ্রধিকার

বলরামপুর (উত্তর প্রদেশ), ১১ ডিসেম্বর (হি.স.): উত্তর প্রদেশের বলরামপুরে সরযূ নাহার জাতীয় প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার সরযূ নাহার জাতীয় প্রকল্প উদ্বোধন করার পর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “দেশের নদ-নদীর জল ব্যবহার করে, কৃষকের ক্ষেতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পৌঁছে দেওয়াই সরকারের অগ্রাধিকার।” এই প্রকল্প উদ্বোধন হওয়ার ফলে উপকৃত হবেন ৬ হাজার ২০০ গ্রামের প্রায় ২৯ লক্ষ কৃষক। পাশাপাশি ১৪ লক্ষ হেক্টরের বেশি সেচ জমিতে নিশ্চিত জল সরবরাহ প্রদান করা যাবে। সরযূ নাহার জাতীয় প্রকল্পের মাধ্যমে পূর্ব উত্তর প্রদেশের ৯টি জেলা-বাহরাইচ, শ্রাবস্তী, বলরামপুর, গোন্ডা, সিদ্ধার্থনগর, বাস্তি, সন্ত কবির নগর, গোরক্ষপুর এবং মহারাজগঞ্জ জেলা উপকৃত হবে।

প্রধানমন্ত্রী এদিনের অনুষ্ঠানে বলেছেন, “চিন্তা যখন সৎ হয়, কাজও তখন দৃঢ় হয়, এটাই প্রমাণ করল সরযূ নাহার জাতীয় প্রকল্প। প্রায় ৫০ বছর আগে সরযূ নাহার জাতীয় প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। যখন এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল, তখন খরচ ছিল ১০০ কোটি টাকারও কম। প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে এই প্রকল্পটি শেষ করা হয়েছে। বিগত ৫ দশকে যতটা কাজ হয়েছিল, তার থেকে বেশি কাজ আমরা বিগত ৫ বছরের মধ্যেই করেছি। এটাই তো ডাবল ইঞ্জিনের সরকার। এটাই ডাবল ইঞ্জিনের সরকারের গতি।” বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “কিছু মানুষ ফিতে কাটতেই বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু, সময়ের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করাই আমাদের অগ্রাধিকার।” বলরামপুর থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “পশুপালন, মৌমাছি পালন এবং মৎস্য পালনের জন্য জাতীয় পর্যায়ে নতুন প্রকল্প চালু করা হয়েছে। দুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারত তো এমনিতেই বিশ্বের মধ্যে অগ্রণী, মধু রপ্তানিকারক হিসেবে বিশ্বে জায়গা করে নিচ্ছে ভারত।”

প্রসঙ্গত, সরযূ নাহার জাতীয় প্রকল্পটি ৯,৮০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে, যার মধ্যে বিগত ৪ বছরে ৪,৬০০ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করা হয়েছিল। সরযূ নাহার জাতীয় প্রকল্পের মাধ্যমে পূর্ব উত্তর প্রদেশের ৯টি জেলা-বাহরাইচ, শ্রাবস্তী, বলরামপুর, গোন্ডা, সিদ্ধার্থনগর, বাস্তি, সন্ত কবির নগর, গোরক্ষপুর এবং মহারাজগঞ্জ জেলা উপকৃত হবে। ওই অঞ্চলে জল সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য এই প্রকল্প ৫টি নদী- ঘাঘরা, সরযূ, রাপ্তি, বানগঙ্গা এবং রোহিণীর সঙ্গে যুক্ত। এই প্রকল্প উদ্বোধন হওয়ার পর উপকৃত হবেন ৬ হাজার ২০০ গ্রামের প্রায় ২৯ লক্ষ কৃষক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *