নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ ডিসেম্বর৷৷ যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ সকালে ত্রিপুরা স্টেট মিউজিয়াম উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ প্রাঙ্গণে ভারতরত্ন ও সংবিধান প্রণেতা বাবা সাহেব ড. ভীমরাও রামজী আম্বেদকরের ৬৬তম তিরোধান দিবস উদযাপন করা হয়৷ তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে ড. আম্বেদকরের মূর্তিতে পুপার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা’াপন করেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা৷
এরপর পুপার্ঘ্য অর্পণ করেন তপশিলি জাতি কল্যাণ মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস, বিধায়ক ড. দিলীপ দাস, বিধায়ক রেবতী মোহন দাস, বিধায়ক রি’ত দাস, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব, প্রাক্তন অধ্যক্ষ জিতেন সরকার, তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের প্রধান সচিব এল এইচ ডার্লং, অধিকর্তা সন্তোষ দাস সহ অন্যান্যগণ৷ পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা বলেন, ড. আম্বেদকর বিদগ্দ রাজনীতিবিদ ও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন৷ দেশ ওনাকে ভারতের সংবিধানের জনক বলে জানে৷ উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, ড. আম্বেদকর সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার কাজ করেছিলেন৷ সর্বদাই পিছিয়ে পড়া মানুষ ও সমাজের কল্যাণে বতী ছিলেন৷ উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকারও ড. আম্বেদকরের মত অনুসারণ করে চলেছে৷
তিনি বলেন, সমাজকে শক্তিশালী করতে হলে, সবকা সাথ, সবকা বিকাশ বাস্তবায়িত করতে হলে সমাজের অন্তিম ব্যক্তিকে সামনে নিয়ে আসতে হবে৷ এটা প্রত্যেক সরকারের দায়িত্ব৷ তপশিলি জাতি কল্যাণ মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় জানান, ড. আম্বেদকর পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সংবিধান রচনা করে গেছেন৷ সংবিধানকে ভিত্তি করে দেশ আজ আনেকদূর এগিয়ে গেছে৷ অনুষ্ঠানে শচীন দেববর্মণ স্মৃতি সংগীত মহাবিদ্যালয়ের শিল্পীগণ দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করেন৷

