Swine flu : সোয়াইন ফ্লুতে ২০৬টি শূকরের মৃত্যুতে সর্বস্বান্ত এক শূকর পালক

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ নভেম্বর।। সোয়াইন ফ্লুতে ২০৬টি শূকরের মৃত্যুতে সর্বস্বান্ত এক শূকর পালক। ঘটনা চরিলাম আর ডি ব্লকের অন্তর্গত চেচুড়ী মাই গ্রাম পঞ্চায়েতের থালা ভাঙ্গা এলাকায়। চরিলাম ব্লকের অন্তর্গত চেচুড়ী মাই গ্রাম পঞ্চায়েতের থালা ভাঙ্গা এলাকায় সোয়াইন ফ্লুর মারাত্মক প্রকোপ প্রকোপ দেখা দিয়েছে।ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত কয়েকদিনে সোয়াইন ফ্লুতে২০৬ টি শুকরের মৃত্যু হয়েছে। শুকর পালকের নাম বিক্রম দাস । জন্ম লগ্ন থেকেই শুকর ব্যবসা করে আসছেন পরেশ দাস।বিক্রম দাস ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছেন তার পিতা শুকর প্রতিপালন করছে। বিক্রম প্রথম একটি শুকর ক্রয় করেছিল। তারপর এই একটি শুকর থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে শুকর।

বিক্রম উদ্যোগ নেয় একটি শুয়োরের ফার্ম খুলবে। পরিশ্রম করে টাকা জমিয়ে নিজস্ব জুত জায়গায় ১৪ লক্ষ টাকা খরচ করে ৫০ টি শুকরের ঘর করেছেন। তিন বছর হয়েছে ফার্ম তৈরি করেছেন।সেই ফার্মগুলোতে ২০০৬ টি শূকরকে লালন পালন করে বড় করে তুলেছেন। একেকটি শুকর আড়াইশো থেকে ৩০০ কেজি ,এমনকি ৫১০ কেজি পর্যন্ত হয়েছিল। প্রতিটি শুকর এর দাম ছিল প্রায় ৫০থেকে ৬০ হাজার টাকা করে।এই কয়েকদিনের মধ্যে দেখতে দেখতে সব গুলি শুকর মরে যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন।আগরতলা থেকে এবং মেলাঘর থেকে ভাল চিকিৎসক নিশিকান্ত বাবু এবং গৌরাঙ্গ বাবুকে নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। একদিনে ১৪০০০ টাকার ভ্যাকসিন করিয়েছেন। দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা চিকিৎসা বাবদ খরচ করেছেন। এরপরেও শুকর গুলিকে বাঁচাতে পারেনি বিক্রম। একদিনে পঁচিশটি পর্যন্ত শুকর মরে যায়। সেই শুকর গুলিকে নিজ নিজ জায়গায় মাটির নিচে কবর দিয়েছেন।প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বিক্রম দাস এর। ২০৬ টি শূকরের এর মৃত্যু হওয়ায় মানসিকভাবে একেবারে ভেঙ্গে পড়েছেন বিক্রম দাস। এখন অনেকগুলি শূকরের ঘর খালি। বন্ধু থেকে ১০ থেকে১৫ টি শুকর ধার করে এনে এখন প্রতি পালন করছেন। চিকিৎসকরা বিক্রকে বলেছেন আর টাকা খরচ করে লাভ হবে না। সোয়াইন ফ্লু এসেছে তাই সবগুলি শুকরের মৃত্যু হয়েছে। সর্বস্বান্ত শুকর পালন বিক্রম দাস পঞ্চায়েত এর নিকট এবং সরকারের নিকট সাহায্য চেয়েছেন। যাতে কিছু সাহায্য পেয়ে আবার শুকর ক্রয় করে শুকর প্রতিপালন করে স্বাবলম্বী হতে পারেন।