Chemistry : আশঙ্কা কাটিয়ে আগরতলা পুর ভোট নির্বিঘ্নে, ভবিষ্যত রসায়ন নিয়ে কৌতুহল

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ নভেম্বর৷৷ আগরতলা পুর নিগম নির্বাচনে বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি৷ ফলে, বিজেপি সেখানে বাড়তি সুবিধা নিতে পেরেছে বলে মনে হচ্ছে৷ তৃণমূল কংগ্রেস প্রথমবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে৷ বিক্ষুব্ধরা তলে তলে তৃণমূলকে মদত দিয়েছে৷ নির্বাচনের আগের দিন বিজেপির বিদ্রোহী বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এবং বিধায়ক আশীষ সাহা প্রকাশ্যে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি দল ও রাজ্য সরকারকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছেন৷ তৃণমূল প্রার্থীদের অধিকাংশই বিক্ষব্ধদের ছায়ায় লালিত একথাই রাজনৈতিক মহলে প্রচারিত৷ সিপিএম কার্য্যত সেইরকম ভাবে জনতার কাছে যেতে পারছে না৷ তাদের দীর্ঘ শাসনে মানুষ সিপিএম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনী ফলাফল কোন দিকে যেতে পারে৷ রসায়ণ কি হবে তা নিয়ে জনমনে এবং রাজনৈতিক মহলে কৌতুহল দেখা দিয়েছে৷


বিরোধীদের ভোট ভাগাভাগির কারণে বিজেপির জয়ের পথ মসৃণ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী৷ কিন্তু, এখানে দেখার বিষয় বিরোধীরা এই ভোটে কতটা শক্তি দেখাতে সমর্থ হয়েছে৷ আগারতলায় বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া ভোট নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে৷ যদিও বিরোধীরা হামলা, হুজ্জতির অভিযোগ এনে মিছিল ইত্যাদি করেছে৷


এদিকে, এদিন আগরতলা পুর নিগমের ৫১টি ওয়ার্ডের জন্য ভোট গ্রহণ যথাসময়ে শুরু হয়েছিল৷ ভোটকে কেন্দ্র করে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে৷ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু অভিযোগ পুলিশের কাছে জানানো হয়েছে৷ ত্রিপুরায় পুর ও নগর সংস্থা নির্বাচনকে প্রহসন পরিণত হয়েছে৷ এই অভিযোগ এনে সিপিএম পশ্চিম আগরতলা থানা ঘেরাও করেছে এবং তৃণমূল কংগ্রেস পূর্ব আগরতলা থানার বাইরে ধর্ণা দিয়েছে৷ তাঁদের সাফ কথা, প্রার্থীরা ভোট দিতে পারছেন না৷ ভোট কেন্দ্রে এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না৷ এমনকি, পুলিশের সামনেই ওই সমস্ত অরাজকতা চললেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না৷ সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, পুলিশের কাছে প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছে৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ তবে, কোন প্রার্থী এখনো আক্রান্ত হয়েছেন এমন কোন প্রমাণ মিলেনি৷ তাঁর দাবি, নির্বাচনে নিরাপত্তা রক্ষায় পর্যাপ্ত সুরক্ষা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে
সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রমেশ যাদব বলেন, দুয়েকটি মারধরের ঘটনা ঘটেছে৷ তাতে, আহতও হয়েছেন৷ নির্বাচনকে ঘিরে প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছে৷ অধিকাংশই বেআইনিভাবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে ভিড় জড়ো হওয়ার অভিযোগ ছিল৷ সমস্ত অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ তাঁর দাবি, গতকাল রাত থেকেই নিরাপত্তার প্রশ্ণে অতিরিক্ত বাহিনী টহল দেওয়া শুরু করেছে৷ যে সমস্ত প্রার্থী নিরাপত্তা চেয়েছিলেন তাঁদের নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, ইতিমধ্যে ২ কোম্পানি বিএসএফ নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অতিরিক্ত বাহিনীও মোতায়েন হয়ে গেছে৷
এদিন তিনি দাবি করেন, একজন প্রার্থীও আক্রান্ত হয়েছেন এমন কোন অভিযোগ নেই৷ তবুও, আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার জন্য সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷ এদিকে, আজ তৃণমূল কংগ্রেস দীর্ঘ সময় পূর্ব আগরতলা থানার বাইরে ধরনে বসে ছিলেন৷ অবশেষে তাঁদের পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *