কলকাতা, ২২ নভেম্বর (হি. স.) : ত্রিপুরা সরকার অসাংবিধানিক কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে দাবি করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোমবার তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “চোরের মায়ের বড় গলা, ত্রিপুরায় হাওয়া গরম করার চেষ্টা করছে তৃণমূল“।
তিনি বলেন, “ত্রিপুরা সরকার নিজেরা কোনও বড় সমাবেশ করছে না। অন্য কাউকেও করতে দিচ্ছে না। প্রশাসন এ ব্যাপারে যা জানানোর স্পষ্ট জানিয়েছে।কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে দেখুন, বিজেপি কোনও সমাবেশ করলেই বাধা দেওয়া হচ্ছে। অথচ, তৃণমূল বড় সমাবেশ করছে। চোরের মায়ের বড় গলা।
সায়নী ঘোষ কাউকে উদ্দেশ করে শ্লোগান না দেওয়া সত্বেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু বলেন, “ভিডিও-তে সব দেখা গিয়েছে। উনি জানলা খুলে খেলা হবে শ্লোগান দেন। আর, এই শ্লোগানটা কত মারাত্মক, ২ মে ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে দেখা গিয়েছে। ভারতবর্ষের মানুষ জেনে গিয়েছে। তাই এই শ্লোগান লুনলে গোটা দেশের মানুষ শিউরে ওঠে।”
তৃণমূলের সভা বা সমাবেশ না করতে দেওয়া প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু বলেন, “তৃণমূল তাদের আবেদনপত্রে কোনও সময়সীমার উল্লেখ করেনি। কী করে পুলিশ অনুমতি দেবে। আবেদনপত্রে ইচ্ছে করে এই ফাঁক রেখে দেওয়া হচ্ছে যাতে আবেদন না দিতে পারে। আর তা নিয়ে হাওয়া গরম করার চেষ্টা করছে তৃণমূল“। এই পরিস্থিতি কি ত্রিপুরার ভোটে প্রভাব ফেলবে? প্রশ্নের উত্তরে সুকান্তবাবু বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস ওখানে রাজনৈতিকভাবে চতুর্থ স্থানে আছে। প্রধান বিরোধী সিপিএম। তার পর কংগ্রেস। তার পর তৃণমূল ও অন্যান্য দল। তাই তৃণমূলকে এত হাওয়া গরমের চেষ্টা করতে হচ্ছে। অন্যথায়, এত লোককে এখান থেকে ভাড়া করে নিয়ে যাওয়ার দরকার হত না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো ওদের সর্বভারতীয় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর নাম শুনে তো ত্রিপুরায় লক্ষ লক্ষ লোক দৌড়ে আসে। ফল, ডায়মন্ডহারবার থেকে লোক নিয়ে যাওয়ার কী দরকার?“