বারমের (রাজস্থান), ১০ নভেম্বর (হি.স.): রাজস্থানের বারমের জেলায় যাত্রীবোঝাই বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন ১২ জন। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের, হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন একজন। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২২ জন। হতাহতরা অধিকাংশ দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসের যাত্রী। সংঘর্ষের জেরে বাস ও ট্রাকে আগুন ধরে যায়। বুধবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বারমের-যোধপুর জাতীয় সড়কের উপর ভানদিয়াওয়াস গ্রামের কাছে। বারমের-এর পুলিশ সুপার দীপক ভার্গব জানিয়েছেন, “বুধবার বারমের জেলার পাচপাদ্রার কাছে ভানদিয়াওয়াস গ্রামের সন্নিকটে একটি যাত্রীবোঝাই বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের জেরে বাস ও ট্রাকে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের এবং ২২ জন দগ্ধ ও আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৮ জনের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক, তাঁদের যোধপুরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা বারমের জেলার বালোত্রার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
‘অভিশপ্ত’ ওই বাসে ছিলেন শাহরুখ নামে একজন যাত্রী। তিনি জানিয়েছেন, আচমকাই বিকট শব্দ হয়। প্রচুর যাত্রী ছিলেন বাসে। সংঘর্ষের পরই আগুন ধরে যায়। কোনও রকমে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। পরে দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। সকাল ৯.৫৫ মিনিট নাগাদ বালোত্রা থেকে যোধপুরের দিকে রওনা দিয়েছিল বাসটি। গুজরাটের একটি বেসরকারি কোম্পানির বাসটি। দুর্ঘটনার খবর শোনা মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন বারমের জেলা কালেক্টর লোক বন্ধু, এসপি দীপক ভার্গব, পাচপাদ্রার বিধায়ক মদন প্রজাপত-সহ অন্যান্যরা।
মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিজনকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আহতদের পরিজনকে দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা। দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও। আহতদের সম্ভাব্য সমস্ত ধরনের চিকিৎসার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।